“ঐক্যের মাঝে শান্তি পাই,পাহাড়ী বাঙ্গালী ভাই ভাই”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে,পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনা রিজিয়নের যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজন বান্দরবানে পালিত হয় ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাইশ বছর পূর্তি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর ) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরে রাজার মাঠে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে রাজার মাঠে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ ও দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। পরে এই উপলক্ষ্যে রাজার মাঠে পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সি য়ং ম্রো’র সভাপতিত্বে,অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন,৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মোঃ শহিদুল ইমরান এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার,পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ফিলিপ ত্রিপুরা,মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার, সিভিল সার্জন অং সুই প্রু সহ সেনাবাহিনী,পুলিশ,বিজিবি সদস্য, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১১ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,দীর্ঘ দুই যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান সমস্যা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে অবসান হয়ে ছিল। যার ফলে এই শান্তি চুক্তিকে বিভিন্ন রাষ্ট্র স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরস্কৃত করা হয়ে ছিল। তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নসহ সমস্ত বিষয়ে প্রধান মন্ত্রী খুবই আন্তরিক।
অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে বান্দরবান পাহাড়ি সুশীল সমাজ,পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল এর আয়োজনে সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান শহরের মাস্টার গেস্টহাউজ সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভায় আলোচকরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সবকটি শর্ত সরকার যতদিন ব্যস্তবায়ন করবে না,আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।