বান্দরবান ৩০০নং সংসদীয় আসনে অবশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কে এস মং। দীর্ঘদিন ধরে তার নির্বাচনকে ঘিরে নানান জল্পনা-কল্পনা চললেও শেষ পর্যন্ত বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
কে এস মং-এর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র পাহাড় কণ্ঠ ডটকম-কে জানায়, জনসংহতি সমিতি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল না হওয়ায় দলের ব্যানারে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছেন। সূত্রটি আরও জানায়, কে এস মং খুব শিগগিরই পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামবেন এবং পাহাড়ের মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ছুটে যাবেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

রাজবিলার গণসংযোগে স্থানীয়দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে কে এস মং
এদিকে বান্দরবান-এ শীতের মৌসুমে বইছে নির্বাচনী উত্তাপ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণসংহতি আন্দোলন—ইতোমধ্যে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই পথসভা, গণসংযোগ ও প্রচারণা শুরু করেছে। একইসঙ্গে, কে এস মং-ও গত কয়েক মাস ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গণসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন। পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখ, সমস্যা ও প্রত্যাশা শোনার জন্য তিনি নিয়মিত মাঠে রয়েছেন।

স্থানীয় সুশীল সমাজের একটি অংশ মনে করছে, কে এস মং নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি-নির্ভর ভোট রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। সব মিলিয়ে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসনে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কে এস মং গত কয়েক মাস ধরে বান্দরবানের দুর্গম এলাকা ঘুরে গণসংযোগ, মতবিনিময় ও উন্নয়ন প্রত্যাশা মূল্যায়ন করে আসছিলেন। তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও আজ তার ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে—তিনি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে।


