নিজস্ব প্রতিবেদকঃকক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ভালুকিয়াপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। মা-বাবা চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায়, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বখাটে যুবক গত ১৪ আগষ্ট রাতে বাড়িতে ডুকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষন করে ভোর সকালে বাড়ির আঙ্গিনায় রেখে পালিয়ে যায়। ধর্ষনের শিকার ছাত্রী ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত।
এদিকে ধর্ষনের শিকার হওয়া মেয়ে ঘটনা আত্মীয় স্বজনের মাঝে খুলে বললেন। স্বজনরা পিতা মাতাকে জানালে তারা খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন।
গত ১৬ আগষ্ট মা নুর নাহার বাদী হয়ে আবদুর রশিদের পুত্র দুলালকে প্রধান আসামি করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৫২ তারিখ ১৬/৮/২০২১ইং। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর অপহরণ করিয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ।
অপর দিকে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তারিক আজিজ জানিয়েছেন ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে।
উপজেলার রত্না পালং ইউনিয়নের তৈলী পাড়া (সর্দার পাড়া) গ্রামের বাদশা মিয়ার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে একই এলাকার চিহ্নিত বখাটে যুবক রশিদ আহমদের ছেলে দুলাল বিভিন্ন সময় উত্যত্ত সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভিকটিম সাড়া না দেয়ায় তাকে ধর্ষনসহ নানা ধরনের হুমকি ধমকি দেয় বলে থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, মা নুর নাহার বেগম চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ সুযোগে গত ১৪ আগষ্ট বখাটে যুবক কতৃক ধর্ষণের শিকার হয় কিরোশী কন্যা। স্কুলছাত্রী ধর্ষনের ঘটনা ৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে জানান।
ভিকটিমের মা নুর নাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসার জন্য আমরা চট্টগ্রামে ছিলাম। কেবল বাড়িতে ছিল আমার কিশোরী মেয়ে ও পুত্র বধু। পাশ্ববর্তী বখাটে যুবক দুলাল রাতে বাড়িতে ডুকে আমার মেয়েকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষন করে ভোর সকালে বাড়ির আঙ্গিনায় রেখে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ করে বলেন, দুলাল একজন দুধর্ষ সন্ত্রাসী, সে ১০ বছর পূর্বে হলদিয়া পালংয়ে একটি গণ ধর্ষন মামলারও আসামি। সন্ত্রাসী দুলাল ও তার ভাই আবদুর রহিম মামলা তুলে নিতে আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান।