বুটের খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠ কাঠিন্যে উপকারী। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে।শরীরের জন্য কাজে লাগে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে। এতে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়। পায়খানা করা সহজ হয়।
নিয়মিত পায়খানা হয়ে যায় বলে ক্ষতিকর জীবাণু খাদ্যনালীতে থাকতে পারে না। ফলে খাদ্যনালীর ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমে। রক্তের চর্বি কমাতেও সহায়ক খাদ্যের আঁশ। আরও নানান শারীরিক উপকার আছে খাদ্য-আঁশে। দেরীতে হজম হয়, এরূপ একটি খাবার হচ্ছে বুটে।
শরীরে শক্তির যোগান দিতে থাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে। প্রতি ১০০ গ্রাম বুটে থেকে পাওয়া যায় ৩৬০ ক্যালরিরও অধিক শক্তি। খাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়িই হজম হয়ে গ্লুকোজ হয়ে রক্তে চলে যায় না। বেশ সময় নেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বুটের শর্করা ভাল। বুটের ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম বুটে আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল।
বুটের শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া বুটে আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। প্রতি ১০০ গ্রাম বুটে ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এ ছাড়াও আছে ভিটামিন ব্লি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। শরীরে প্রবেশ করলে অস্থির ভাব দূর হয়।
তথ্যসূত্র : ফল সংক্রান্ত বই এবং উইকিপিডিয়া।