যেমন কথা তেমনই কাজ। যোগদানের ৩ দিনের বিতর নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনর্চাজের তত্বাবধানে অভিযান চালিয়ে ৩ মাদক কারবারীসহ আটক করলেন ইয়াবার বড় একটি চালান।
২৭ জুন (শনিবার) সন্ধ্যায় ঘুমধুম পশ্চিম পাড়া থেকে এ সব উদ্ধার করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবাগত ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
প্রত্যক্ষর্দশী সূত্র জানায়,ঘুমধুম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন হলেও মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অতি নিকটে অবস্থিত সীমান্ত এলাকা। আর এ এলাকাটি টেকনাফ-কক্সবাজার সড়ক ঘেষাও।
এ কারণে এ এলাকার মানুষ ধীরে ই্য়াবার প্রতি র্দূবল হয়ে পড়েছে ক’বছর ধরে,যার সাথে শুধু সাধারণ মানুষই নয়,জড়িয়ে পড়েন নানা পেশার লোকজনও।
২৭ জুন সন্ধ্যায় ৫০ হাজার ইয়াবা সহ আটক ৩ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যেও এধরনের পেশাজীবী রয়েছে। এদের দু’জন সমাজ কর্মী অপর ১জন এনজিও কর্মি। আটক হওয়া ইয়াবার ম্যূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
পুলিশ জানান,তারা সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওর্য়াডের পশ্চিম পাড়ার স্থানীয় এক মেম্বারের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত ৩ জনকে আটকের পর থলের বিড়াল বের হয়ে আসতে শুরু করেছে।আরো জানান,গতকাল তারা আটক করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক একটি এনজিও কর্মি বদি আলম বদি,স্থানীয় কামাল মেম্বারের চাচাতো ভাই সমাজ কর্মি রশিদ আহমদ ও লুৎফর রহমান।
স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবী করেন,বদি আলম সহ অপর ২ আসামী র্দীঘদিন ধরে এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে, তাদের ২ গড়ফাদার রয়েছে। তারা সরকার দলের নাম পরিচয় দিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে এসব করলেও কেই মূখ খুলতে পারেনি এতোদিন।
আর তারা এলাকার প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির নেতাও বটে। এ কারণে ঘুমধুম এখন ইয়াবার স্বর্গরাজ্য, এখন সময় এসেছে এ সব প্রতিরোধের। গড়ফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার দক্ষ ও সাহসি নবাগত অফিসার ইনর্চাজ আলমগীর হোসেন বলেন, তিনি যোগদানের প্রথম দিন বলেছিলেন মাদক ব্যবসা আর না। এ বিষয়ে তিনি আপোষ করবেন না কারও সাথে । তাই তার বাহিনীকে তিনি পুরো উপজেলায় স্ট্যান্ডভাই রেখেছেন সেদিন থেকে। আর তারই ফলশ্রতিতে এবং তত্বাবধানে ৩ ইয়াবা ব্যবসায়ী সহ প্রায় অর্ধলক্ষ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে তিনি প্রমান করে দিয়েছেন যেমন কথা তেমনই কাজ।