নিজস্ব প্রতিবেদক :কেয়ার বাংলাদেশ এর আয়োজনে এবং ইউএসএআইডি এর আর্থিক সহায়তায় “অ্যাকশন ফর সাপোর্টিং দ্যা হোস্ট কমিউনিটিস: এডাপটেশন এন্ড রেজিলিয়েন্স, ফেজ ২ (আশার আলো-২)” প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে “রেফারেল পাথওয়ে আপডেট এবং শেয়ারিং” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের হলকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী এবং সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আশার আলো-২ প্রকল্পের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম।
এ কর্মশালার মূল আলোচ্য বিষয়সমূহ ছিল:
১) ইউনিয়নে সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহ চিহ্নিত ও লিপিবদ্ধ করা। ২) বিদ্যমান রেফারেল পাথওয়ে শেয়ার ও আপডেট করা রেফারেল পাথওয়ে হল একটি নমনীয় প্রক্রিয়া যা সার্ভাইভারদের সহায়ক উপায়ে সময়মত এবং উপযুক্ত পরিষেবার সাথে সংযুক্ত করে।
কর্মশালায় কেয়ার বাংলাদেশের আশার আলো-২ প্রকল্পের আয়েশা সিদ্দীকা, সাজিয়া আফরিন এবং ঊর্মি বড়–য়া, সাংবাদিক নরুল বাশার ও মওকা, পালস, হোপ ফাউন্ডেশন, আইওএম, মুক্তি কক্সবাজার নামক এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি গন উপস্থিত ছিলেন। উলে¬খ্য, কেয়ার বাংলাদেশ আশার আলো প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালের আগষ্ট মাস থেকে অত্র ইউনিয়নে দুইটি নারী এবং কিশোরী বান্ধব কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়ামূলক সেবা প্রদান করে আসছে।
আশার আলো প্রকল্প: কক্সবাজার বাংলাদেশের দরিদ্র জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম। জেলাটির নি¤œ ভূমিমানের জন্য এ অঞ্চলে দুর্যোগের ঝুঁকি প্রবল। কেয়ার বাংলাদেশের আশার আলো প্রকল্পটি রোাহিঙ্গা শিবিরের বাইরের ঝুঁকিপূর্ন উপজেলাগুলোতে দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস ও স্থানীয় এবং রোাহিঙ্গা জনগোষ্ঠির মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রকল্পের কার্যক্রমগুলো উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং, জালিয়া পালং, পালংখালি ও রতœাপালং ইউনিয়নে এবং রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাইছড়ি ও চাকমারকুল ইউনিয়নে পরিচালনা করছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠির অংশগ্রহনের মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, অবকাঠামোর উন্নয়ন ও ওয়াশ কার্যক্রমে এ অঞ্চলের মানুষের সক্ষমতাবৃদ্ধি করাই কেয়ারের এ প্রকল্পের লক্ষ্য।