নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের ছুটির দিনে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছে বাংলার অন্যতম পর্যটন স্থান কক্সবাজারে। পর্যটকদের ভিড় বাড়াতে হোটেল-মোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও রেস্তোরাঁয় বেশি দামে খাবার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আরো অভিযোগ রয়েছে নির্ধারিত ভাড়া থেকে বেশি নেয়া হচ্ছে গাড়ী ভাড়া।
প্রতিটি হোটেলের ভাড়া (নরমাল) সর্বনিম্ন সাড়ে পাঁচ হাজারে কিছু হোটেলের ভাড়া ৯ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।হোটেল ভাড়ার কোনো তালিকা না থাকায় অনিয়ম করছে পর্যটন ব্যবসায় জড়িত সংশ্লিষ্ট’রা।
ঈদ এর ছুটি কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকরা এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের এমন আচরণে পর্যটন শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হোটেল-মোটেলে নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট রাখার নিয়ম থাকলেও কোনো হোটেলেই তা নেই। হোটেল লজ, গ্যালাক্সি, বিচওয়ে, বিচ রিসোর্ট, হোয়াইট অর্কিডসহ বেশ কয়েকটি হোটেলে ঘুরে দেখা গেছে, তাদের কোনো রুমই খালি নেই। আর এসব হোটেলে প্রতিটি রুম (নরমাল) সাড়ে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকায় ভাড়া হয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে সব হোটেলের রুম বুকিং। তাই পর্যটকরা রুম পাচ্ছেন না।অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটি আমার জানা নেই। তবে কিছু অসাধু ব্যাবয়াসী নিচ্ছে।
বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাথে বলে জানা যায়, কোথাও রুম খালি নেই। যেসব রুম খালি আছে সেগুলো কোনো মানের না। রুমগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। হোটেলের রুম ভাড়া নিতে গেলে প্রতি রুম সাড়ে আট হাজার চায়।একদিনের জন্য নাকি রুম ভাড়া দিতে মালিকপক্ষ নিষেধ করছে। রুমগুলো দেখে মনে হলো এটি সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা হবে। পর্যটক বেশি আসায় হোটেল ব্যাবসায়ীরা এমন আচারণ করছে। অনেক পর্যটক হোটেলে রুম না পেয়ে সড়কের পাশে সময় পার করছেন।
কক্সবাজারে ঘুরতে আসা আরো কিছু পর্যটক আমদের জানান হোটেল ভাড়া আকাশ ছুঁয়েছে, এসেছিলাম ঘুরতে এখন চলে যাওয়া লাগবে। গাড়ী ভাড়া ও খাওয়ার দাম চাচ্ছে দ্বিগুণ দেখার মত কেউ নেই একটু থেকে একটু মন মালিন্য হলে খারাপ ব্যাবহার করছেন ব্যাবয়াসীরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগটি আমরা অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পর্যটক হয়রানি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।