থানচি প্রতিনিধি: জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। সাড়াশি অভিযানে রুমা বাকলাই পাড়া এলাকায় গতরাত এবং আজ সকালে(২৮এপ্রিল) কেএনএফ’র সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়।এসময় কেএনএফ’র বেশকয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলেই নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছে।
রোববার(২৮ এপ্রিল ) ভোর রাতে রুমা উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের বাকলাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধারের পুলিশ বাহিনীর ঘটনা স্থলে যাচ্ছে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেখানে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে নিরাপত্তার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
স্হায়ী সূত্রের তথ্যমতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কেএনএফ’র মধ্যে গোলাগুলির চলে। পরে ওই এলাকা তল্লাশি চালিয়ে কেএনএফ-এর পোশাক পরা দু’জনের লাশ মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং সন্দেহভাজন আরও দুই জনকে আটকে করে।
নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১২টার পর থেকে থানচি লিক্রি সড়কের বাকলাই এলাকায় দুর্গম পাহাড়ে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালায়। সেখানে ৬ ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধের পর দু’জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে আটক সদস্যদের বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলটি রুমা থানা এলাকার হলেও থানচি থানার সাথে যোগাযোগের সুবিধা ও নিকটবর্তী হওয়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করবে পুলিশ। বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আইএসপিআর বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানান ,বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দূর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির দুই জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এসময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র,বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ,ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজার অপহরণ, রুমায় মসজিদে ও থানচি বাজারে হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফের) রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে সাড়াশি অভিযানে চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, আর্মড পুলিশ’সহ যৌথ বাহিনী।