পার্বত্য জেলা রাঙামাটির, বরকলের সরকারি নির্দেশনায় মানুষকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে প্রথম থেকে কাজ করে যাচ্ছে বরকল উপজেলা প্রশাসন।
তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনেও উপজেলার মানুষকে ঘরে রাখতে ও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে উপজেলা ব্যাস্ততম ভুষনছড়া ইউনিয়নের বিভীন্ন বাজারে ইউএনও মো জুয়েল রানার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম দিনব্যাপী কাজ করছেন।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পিআইও মো আব্দুল কাইয়ুম খান।ইউপি চেয়ারম্যান মো মামুনর রশীদ মামুন,জলিল মেম্বার,রুহুল আমিন মেম্বার,আবু সাইদ মেম্বার,ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম,ফারুখ ই আযম দাখিল মাদ্রাশার অধ্যক্ষ মো আব্দুল্লাহ আল হেলালসহ অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান,আজ বরকল উপজেলার ভুষনছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়।এর পাশাপাশি অত্র ইউনিয়নের বামলেন্ড বাজার,ভুষণছড়া বাজার ও এরাবুনিয়া বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারের দোকান ব্যবসায়ীদের পন্যের মুল্য নির্ধারন করে প্রতিটি দোকানে তালিকা প্রনয়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়।করোনাকালীন সময়ে সবাইকে সচেতেনতার সাথে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে।ইতিমধ্যে বরকলে ৬ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।আমরা অত্র উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আপ্রান চেষ্টা করছি।
এ সময় তিনি এরাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মান কাজ পরিদর্শন করেন।উক্ত কাজের কিছু অনিয়ম পাওয়ার দরুন উক্ত কাজের ঠিকাদার বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। এছাড়াও তিনি সবাইকে মাস্ক পড়া, বাজারে অযথা ঘোরাফেরা করে জনসমাগম না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলার পরামর্শ দেন।
এদিকে স্থানীয়রা সরকারি নির্দেশনাকে সমর্থন করে বিনা কারণে ঘর থেকে বাহির হচ্ছেনা।যারা বিভিন্ন জরুরী কাজে বের হচ্ছে তাদের সকলে মুখে মাস্ক লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও প্রায়ই থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মানুষ খুব কমই ঘর থেকে বাহির হচ্ছে বলা চলে।এসময়ে তিনি ভুষনছড়া বাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উক্ত বাজারে ডিউটিরত ১২ বিজিবির সদস্যদের কার্যাদির প্রশংসা করেন।এছাড়াও তিনি এসময় অত্র ইউনিয়নের বিভীন্ন অবকাঠামোগত বিষয়ে উন্নয়নের আশ্বাস প্রদান করেন।