শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বান্দরবানে একদিনের ব্যবধানে পাহাড় থেকে কঙ্কাল, নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার আরাকান আর্মি কৃতক মংডু দখল, নাফ নদীতে নৌ চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির  ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লং মার্চ টু আখাউড়া বুধবারে শীত ঢুকতে না ঢুকতেই পর্যটকে ভরপুর রাঙ্গামাটি থানচিতে রোকেয়া দিবসে সফল নারী নির্বাচিত জয়িতাদের সংবর্ধনা বান্দরবানে নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে গোলটেবিল বৈঠক বান্দরবানের প্রতিটি গ্রাম আজ বিএনপির দুর্গ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে: সাচিং প্রু জেরী খাগড়াছড়িতে ঘরে ঢুকে মাথায় আঘাত করে গৃহবধূকে হত্যা
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

১৯শত পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন এক্ট বাতিল করা মানেই পার্বত্য শান্তিচুক্তির সাংঘর্ষিক 

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৩২৩৮ জন নিউজটি পড়েছেন

 নিজস্ব প্রতিবেদক,

 প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপের কামনায় স্মারক লিপি প্রদান

ব্রিটিশ শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী অধিবাসী তথা আদিবাসীদের অবস্থান, সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিকসহ ঐতিহ্য প্রথা, সামাজিক, রাজনৈতিক ও শাসন ব্যবস্থার জন্য তৈরী করা ১৯শত পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের ম্যানুয়াল বা এক্ট বাতিলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সার্কেলের চিফ (রাজা), হেডম্যান, কারবারীর সমন্বয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে বান্দরবান জেলার বোমাং সার্কেলে হেডম্যান, কারবারীসহ হাজারো অধিক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলো।

আজ ৯জুলাই সকাল ১১ঘটিকা তিন পার্বত্য জেলার একই সময়ে বান্দরবান বোমাং সার্কেল তথা বান্দরবান পার্বত্য জেলা বাসবাসকারী সকল আদিবাসী জাতি সম্প্রদায়ের হাজারো অধিক মানুষের অংশগ্রহণে জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

1900শতক রেগুলেশন এক্টে সংক্ষিপ্ত বিবরণে দেখা যায়, ব্রিটিশশাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এই অঞ্চলের বসবাসরতঃ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমূহে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ন্যায়বিচার, ভূমি, রাজস্ব এবং অন্যান্য প্রশাসনের একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি, এই প্রবিধানটির মাধ্যমে সামাজিক আইন-বিচারের মত মামলার প্রক্রিয়াও নির্ধারণ করে এবং ভূমি, ন্যায়বিচার এবং স্বশাসন সম্পর্কিত দীর্ঘকালের প্রথা, অভ্যাস এবং ব্যবহারের ভূমিকা স্পষ্টভাবে এবং পরোক্ষভাবে স্বীকার করে একটি প্রবিধান আইন পাশ করেন। যা পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০শতক রেগুলেশন বা হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়াল নামেও পরিচিত। যেটি ১৯ জানুয়ারী ১৯০০ সালে কার্যকর হয়। এর পর থেকে এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসন সংক্রান্ত প্রধান আইনী দলিল হিসেবে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই প্রবিধানে বিভিন্ন বিধানসমূহ রয়েছে যা এই অঞ্চলের সুশাসন, ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং এই অঞ্চলের জনগণের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সুরক্ষা এবং আন্তঃপ্রজন্মগত চর্চার করে আসছে। সেই প্রথাগুলিকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ তথা রাজা, হেডম্যান, কারবারী এবং সমাজে প্রবীন ব্যক্তিবর্গগণ প্রধান ভূমিকা দায়িত্ব পালন করে আসছেন । এবং এখনো চলমান আছে।

 #1900শতকে পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রবিধানকে একটি “মৃত আইন” হিসাবে ঘোষণাঃ

গত ২০০৩ সালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ওয়াগ্গাছড়া টি এস্টেট লিমিটেড স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ আবু তাহের অ্যান্ড আদারস নামে (রিট পিটিশন নং 147, 2004) আবদেনকে আমলে নিয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল এ. এফ, হাসান আরিফের আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের একটি বিভাগীয় বেঞ্চ ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে একটি “মৃত আইন” হিসাবে ঘোষণা করেন।

#1900শতকে পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রবিধানকে একটি “জিবীত আইন” হিসাবে ঘোষণাঃ

পরবর্তীকালে এই প্রেক্ষিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে উক্ত রায়ের ( বিএনপি আমলে ঘোষনা কৃত সিএইচটি রেগুলেশন, 1900 একটি “মৃত আইন” (রিট পিটিশন নং 147, 2004) বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আপিল করা হয়। ২০১৭ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে “পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০”- কে একটি সম্পূর্ণ “জীবিত ও বৈধ” আইন হিসেবে বলবৎ রাখেন [Wagachara Tea Estate Ltd. v. Muhammad Abu Taher & Others, 16 BLD (AD) (2016), 36]।

পরবর্তীতে শেখহাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সরকার পক্ষে (জিওবি) তৎকালীন এ্যাটরনী জেলারেল ২০১৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক রায় ( এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করে। আপিল বিভাগ নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত বাতিল করে এবং ঘোষণা করে যে 1900 রেগুলেশন একটি সম্পূর্ণ বৈধ আইন মর্মে ঘোষনা করেন।

পরবর্তীতে 2018 সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী একজন বাঙ্গালীর আবেদনকে আমলে নিয়ে (২০১৭ সালে পাশকৃত রায়ের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০”- কে একটি সম্পূর্ণ ” জীবিত ও বৈধ” আইন) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে বর্তমান এ্যাটর্নি জেলারেল এম.আমিন উদ্দিন পূণরায় সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। এবং ১৯০০শ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ও ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি ধারা সমূহের প্রায় ২৯টি উপধারা, শব্দর যেমন “রাজা” “আদিবাসী” সামজিক রীতিনীতি, প্রথা, আইন-অধিকার ও পার্বত্য জেলার বন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণ, রক্ষানাবেক্ষণ সমূহের বাতিলের সুপারিশ করেন।

একটি পর্যালোচনা পিটিশন,

রিভিউ কেস সম্পর্কে জানার পর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিনটি সংবিধিবদ্ধ পার্বত্য জেলা পরিষদ, ঐতিহ্যবাহী চাকমা সার্কেল এবং সিএইচটি সিটিজেনস কমিটি, একটি নাগরিক সমাজের মানবাধিকার নেটওয়ার্ক, রিভিউ মামলায় পক্ষ হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতির সাথে স্বাক্ষরিত রাজনৈতিক চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ও প্রবিধান সংশোধনের সংবিধিবদ্ধ বিধান। সমিতি (PCJSS/JSS 2 ডিসেম্বর, 1997-এ, বাংলাদেশ সরকার (GOB) সম্মত হয়েছিল যে 1900 রেগুলেশন সংশোধন করা হবে, আলোচনার ভিত্তিতে এবং পরামর্শের ভিত্তিতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কাউন্সিল, একটি নতুন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠিত হয়েছিল। 1998 পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, 1998 (1998 সালের আইন XII) এর মাধ্যমে 1900 রেগুলেশনের সংশোধনীগুলির উপরোক্ত বিধানগুলি 1988 সালের XII আইনে পুনরুত্পাদন করা হয়েছিল। অতএব, এটি নির্ভরযোগ্যভাবে অনুমান করা যেতে পারে যে 190 এর আইন বাতিল করা হয়েছে। GOB-এর সাথে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক, যেহেতু এটি নিজেকে সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছে, সেই উপলক্ষ দেখা দিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান স্থানীয় সংস্থা, বা অন্যথায় পরামর্শের মাধ্যমে।

কিন্তু ২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার বসতি স্থাপনকারী, যথাক্রমে আব্দুল আজিজ আখন্দ এবং আব্দ

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!