Logo
বাংলাদেশ[bangla_day] , [english_date]
  1. অনিয়ম
  2. অপরাধ
  3. অপহরণ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন শৃঙ্খলা
  6. আইন-আদালত
  7. আওয়ামীলীগ
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আলীকদম
  10. ইতিহাস ও গল্প

বান্দরবানে ও রয়েছে বেনজীর আহমেদের সম্পদ, দেখাশোনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি

আরাফাত খাঁন
আপডেট : June 4, 2024
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের একশ একর জমি, মাছের প্রজেক্ট-গরুর খামার এই সকল জমি কিনতে সহযোগিতা করেছেন এবং দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

[বান্দরবান সদরের সুয়ালক ইউনিয়ন ও লামা উপজেলার ডলুছড়িতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে রয়েছে শত একর জমি

 এসব জমিতে রয়েছে মাছের প্রজেক্ট, গরুর খামার, ফলের বাগান ও বিশ্রামাগার সহ প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।

 ভয়ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে কিনে নেন বিগত দিনে জমিতে বসবাস রত অসহায় মানুষদের থেকে। জমি কিনতে সহযোগিতা করেছেন বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা।

 স্থানীয়দের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মির্জা ও মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে বান্দরবান পৌর এলাকার মধ্যমপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে শাহজাহানের কাছ থেকে ৩১৪ নম্বর সুয়ালক মৌজায় ৬১৪ নম্বর দাগে ও ৩ নম্বর শিটে ২৫ একর জায়গা লিজ নেন। জায়গাটি নেওয়ার পর সেখানে তিনি মাছের প্রজেক্ট ও গরুর খামার করেছেন।

তার জমিতে যাতায়াতের জন্য করা হয়েছে রাস্তা এবং পেয়েছেন বিদ্যুৎ সংযোগও ।বর্তমানে খামারে কোরবানির ঈদে বিক্রয়যোগ্য গরু রয়েছে ৩৫টি। আর অবকাশযাপনের জন্য করা হয়েছে একটি দোতলা বাড়ি। এতে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও (এসি)।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা জানান, সভাপতি মংওয়াই চিং মারমা কখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না। সভাপতি পদে ৫ জন প্রার্থী থাকার পরেও উনাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত করা হয়। শুনেছি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের লোক হওয়ার কারণে জেলা কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মং ওয়াইচিং সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি বেনজীরের সম্পত্তি দেখাশোনার কোন দায়িত্বে নেই। সভাপতি হতে আপনাকে সহযোগিতা করেছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,এমন কোন তথ্য প্রমাণ কি আছে। জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে আমি সভাপতি হয়েছি।

জেলা আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাস বলেন, আমি কিছু জানিনা অভিযোগের সত্যতা পেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- আমাকে একটু সময় দেন আমি সবকিছু জেনে বলবো।