নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১৫ জুলাই সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ভাঙচুর ইত্যাদির প্রতিবাদে ১৬ জুলাই উত্তাল হয়ে উঠে সারাদেশ প্রতিবাদ হয় জোরদার। সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানে এক বিশাল মানববন্ধন করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে জেলা শহরের প্রেস ক্লাবের সামনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে প্রবেশ করতেই ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে বলে অভিযোগ করেন সাধারন শিক্ষার্থীরা পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা যায় মানববন্ধন চলাকালে হঠাৎ করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মার্মা ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক এর নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের উপর চড়াও হয়। এসময় পুলিশ বাধা দিলে ছাত্রলীগের সদস্যরা বাধা উপেক্ষা করে কোটা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে, পরে একপর্যায়ে পুলিশি প্রহরায় তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
এসময় কোটা আন্দোলনকারী সায়মা রহমান সংবাদিকদের বলেন, আন্দোলন করার অধিকার সবার রয়েছে, আন্দোলন করার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করা হয় যা খুবই লজ্জাজনক। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবীর সাথে পূর্ন সমর্থন জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক “এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাহাড় কন্ঠ কে জানান আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন ও করিনা অসমর্থন ও করিনা কিন্তু গত ১৬ জুলাই সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রদের উপর হামলা ও আজ শান্তির বান্দরবানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়ার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই”
ঘটনার পর পরই আওয়ামীলিগের জেলা কার্যালয় এর সামনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মারমা সাধারন শিক্ষার্থীদের জামাত শিবির ও ছাত্র দল দাবি করে সাংবাদিকদের জানান বান্দরবানের মত শান্তি পূর্ন এলাকায় শিবির ও ছাত্রদল মিলে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে, তাদেরকে ছাত্রলীগ প্রতিহত করবে।