রুমা প্রতিনিধিঃবান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচী পরিচালনা করছে প্রকল্প বানি (Bangladesh agriculture and Nutrition Initiative)। প্রকল্পটির বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে স্থানীয়দের মধুচাষ, তাঁত বুননে উদ্বুদ্ধকরণ,বিভিন্ন এলাকায় কৃষি পণ্যের সংগ্রহশালা তৈরি,গবাদিপশু পাখি পালনে সহায়ক হিসেবে ভলান্টিয়ার দল গঠন,পশুপাখির টিকা প্রদান সহ আরো বেশ কিছু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের সহায়ক কার্যক্রম। কারিগরি সহযোগী সংস্থা হিসেবে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর সাথে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বান্দরবানের স্থানীয় এনজিও সংস্থা গ্রাউস।উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের দূর্গম এলাকা রেমাক্রি,গালেঙ্গ্যা,রুমা সদর এবং পাইন্দু ইউনিয়নে ২০২০ সাল হতে প্রকল্পের কাযর্ক্রম পরিচালনা করছে গ্রাউস।
প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর অংচউ মার্মার সাথে কথা বলে জানা যায়, বানি প্রকল্প রুমাতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।বর্তমানে তারা প্রাণী সম্পদ স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচীর আওতায় গবাদিপশু পাখির টিকাদান কার্যক্রমে ব্যাপক জোড় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এ কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হলো- স্থানীয়দের পশুপাখির টিকাদানে উদ্ধূদ্ধকরণ, প্রাণীদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে মৃত্যু হ্রাস ও লাভ বৃদ্ধিকরণ এবং স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সেবা গ্রহন অব্যাহত রাখা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও বানি প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে প্রাণী সম্পদ স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচীটি পরিচালিত হচ্ছে। অংচউ মারমার তথ্য মতে, স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় কয়েক হাজার গরু সহ ছাগল, মুরগি, শুকর ইত্যাদি টিকাদান ও কৃমি দূরীকরণ কর্মসূচীর আওতায় এসেছে।
রুমার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে গবাদিপশু পাখি পালন করে আসলেও আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ না করায় প্রতিবছর ব্যাপক হারে গবাদিপশু মারা যায়, যার ফলে পালনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পশুপাখি পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বানি প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন প্রকল্পের সুবিধাভোগী ও সম্পৃক্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
আরো পড়ুন >>>থানচিতে চাঁদের গাড়ি ও মটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত