বান্দরবানের:নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ভোর রাতে কয়েকজন রোহিঙ্গা যুবক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবনিয়া রেজুপাড়া ৩৯-৪০ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে লুকিয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার পথে স্থল মাইন বিস্ফোরণ ঘটে,এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন আহত হন আরও দুইজন।
নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোহাম্মদ হামিদ (৩০)। তার পিতার নাম আব্দুল করিম, কুতুপালং ১নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক-৪ এ বসবাসরত রোহিঙ্গা নাগরিক এবং আহতরা হলো- একই ক্যাম্পের নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল হক (২৫) ও ২নং ক্যাম্পের ডিডি জোন ব্লকের আব্দুর রহমানের ছেলে হাবিব উল্লাহ (২২)।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী শিবির ক্যাম্পের হাসপাতালে ভর্তি করেন।তাদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প ওয়েস্ট-১ এর প্রধান মাঝি মোহাম্মদ রফিক। নিহত রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে বিজিবি-পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবী, হতাহত রোহিঙ্গারা মাদকদ্রব্য’সহ চোরাচালানে সঙ্গে জড়িত ছিলো। চোরাচালান করতে গিয়ে বিস্ফোরনে হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের আনাগোনা ঠেকাতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে কাটা তারের বেড়া ঘেষে স্থলমাইন পুতেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার জানান, সীমান্তের ৩৯/ ৪০ নাম্বার সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাস্থল মিয়ানমার অংশে পড়েছে। ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত: এর আগে (৪ সেপ্টেম্বর) ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ৩৮-৩৯ পিলার এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে মারা যান মো. শাহাজাহান (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গা। এই ঘটনার ২০দিন পর ২৩ সেপ্টেম্বর তুমব্রু থোয়াঙ্গাাঝিরি এলাকায় একই ভাবে মৃত্যু হয় আব্দুল মজিদের। গত তিন মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে ৬ রোহিঙ্গা নাগরিক মাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে।