1. soccergames24@gmail.com : babul khan : babul khan
  2. 1234567889@gmail.com : Khaled Mahabub Khan Arafat : Khaled Mahabub Khan Arafat
  3. shebabslinfg@gmail.com : Babul Khan : Babul Khan
  4. mhkbkhan@gmail.com : Mahabub Hassan Khan : Mahabub Hassan Khan
ফাইতং এ 'যাত্রী ছাউনী' দখল করছে হেডম্যান - paharkantho
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নাইক্ষ্যংছড়িতে সবজি ব্যাবসায়ীর লাশ মিললো খালে। নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ঘুমধুমে যুব সমাজের উদ্যোগে রাস্তা মেরামত ঘুমধুম খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের পঁচনধরা মরদেহ উদ্ধার বান্দরবানের থানচি-রুমা পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

ফাইতং এ ‘যাত্রী ছাউনী’ দখল করছে হেডম্যান

ওসমান গনি, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩১২৬৫৪ জন নিউজটি পড়েছেন

লামা উপজেলার বানিয়ার ছড়া-ফাইতং-লামা সড়কের ফাইতং ষ্টেশনে যাত্রী ছাউনি ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

বান্দরবান জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত ১০ বছরের ও অধিক কালের একটি পুরনো সরকারী যাত্রী ছাউনি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের আশ্রয়স্থল ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। এটি দখল করতে ভাংচুর চালিয়েছে স্থানীয় হেড়ম্যান ওমরামং। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙ্গন বন্ধ করে দিয়েছে। সুবিধাভোগিরা একে হেড়ম্যান ওমরামং এর ক্ষমতার অপব্যবহার বলে দাবী করেছেন।

সরেজমিনে এলাকাবাসী ও সিএনজি ড্রাইভাররা জানান, বান্দরবান জেলা পরিষদ যাত্রীদের সেবায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ফাইতং ষ্টেশনের পুর্বকর্ণারে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মান করে দেয়। ১০ বছরের ও অধিক কাল ধরে যাত্রী ছাউনিটি যাত্রীদের আশ্রয়স্থল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত মঙ্গল ও বুধবার (২ দিন আগে) স্থানীয় হেড়ম্যান ওমরা মং যাত্রী ছাউনির দেয়াল ও টিনের চাল ভেঙ্গে নিয়ে যায়। আরসিসি পিলার ভেঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। এতে পিলারগুলো নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ফাইতং ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হানিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, “এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, একদল লোককে একটি কাল পলিথিনের বেড়া দিয়ে যাত্রী ছাউনির ইটের দেয়াল ভাংতে দেখি। আমি তাদেরকে যাত্রী ছাউনি ভাংতে নিষেদ করি এবং বলি ওটা ভাঙ্গার প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ভাঙ্গার জন্য। অন্যথায় আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এই বলে আমরা কাল পলিথিনের বেড়া সরিয়ে লোকজন তাড়িয়ে দিয়ে চলে আসি’।

এদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার হেড়ম্যান ওমরা মং স্বীকার করেছেন যাত্রী ছাউনিটি তিনি ভাঙ্গীয়েছেন। তিনি বলেন, যাত্রী ছাউনিটি গত ১০ বছর আগে তার ৫০৫ নং হোল্ডিং এর খতিয়ানভুক্ত জমিতে নির্মান করেছিলেন জেলা প্রশাসন। ওটা নির্মান কালে ওই স্থানে লোকসমাগম ছিল। কালের পরিবর্তনে ষ্টেশনের চৌমুহনী আরো পশ্চিমে চলে আসে এবং লোক সমাগম হয় ৩ শত গজ পশ্চিমের চৌমুহনীতে। অপরদিকে বর্তমানে ওই স্থানে দোকানপাট হওয়ায় যাত্রী ছাউনিটি দোকানের আড়ালে হয়ে গেছে।

এ ছাড়াও ব্যবহার না থাকায় পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিটি বাজারের উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অন্ধকারে হওয়ায় মলমুত্র ও ত্যাগ করে অনেকে এতে করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাই আমি যাত্রী ছাউনিটি বর্তমান স্থান থেকে সরিয়ে চৌমুহনীতে স্থাপনের ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে এটি জনকল্যানে আসে। পরিত্যক্ত যাত্রী ছাউনিটি সরাতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের সম্মতি নেওয়া হবে বলেও বতিনি জানান। তবে যাত্রী ছাউনি ভাংচুরকে কেন্দ্র করে ফাইতং বাজারের দোকানদার ও সুবিধাভোগিরা হেড়ম্যান ওমরামং এর ক্ষমতার অপব্যবহার বলে দাবী করেছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
jp-354c8c03daee477a362a