ইসমাইলুল করিম,লামা (বান্দরবান) : বান্দরবান পার্বত্য জেলা লামা উপজেলা ফাইতং ইউনিয়নে প্রথম ধাপে ৭টি ঘর পাচ্ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর টি দরিদ্র পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যের বিশেষ ডিজাইনের সেমি পাকা ঘর।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর)সকাল ১১টায় ফাইতং ইউনিয়নে এসে প্রথম ধাপে ৭টি ঘর পাচ্ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর টি দরিদ্র পরিবার তা পরিদর্শন করেন, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. রেজা রশীদ।
ঘরপ্রাপ্তরা হলেন ফাইতং ইউনিয়ন ১,৪,৫, ৬,৭,৮নং ওয়ার্ড ২টি প্রথম ধাপে ৭টি ঘর পাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ’ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। প্রতি ঘরে ১ লাখ ৭০হাজার টাকা হারে এতে মোট ব্যায় হচ্ছে ১১লাখ ৯০হাজার । বাস্তবায়ন করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ( আশ্রয়ন প্রকল্প )। এরই ধারাবাহিকতায় লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে প্রথম ধাপে ৭টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রতিটি ঘরে থাকছে ২টি কক্ষ ও বারান্দাসহ রান্না ঘর।
আরও জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক সুপারিশকৃত উপকারভোগীদের তালিকা অনুযায়ী গৃহ নির্মাণের স্থান নির্বাচন ও জমি পরিদর্শনের কাজ শেষে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রথম ধাপে ৭টি ঘর পেয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জানান অভাবের সংসার আমাদের ভালো ঘর নেই । প্রধানমন্ত্রীর কারণে নতুন করে সেমি পাকা ঘর পাচ্ছি। বাচ্চাদের নিয়ে একটু ভালো করে থাকতে পারব।
ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন কোম্পানি জানান আমার ইউনিয়নে,গৃহহীন পরিবারগুলো ঘর পেয়ে অনেক খুশি। আরো যারা হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে, তাদের কথা বিবেচনা করে আরো বরাদ্দ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারা।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. রেজা রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে দেয়া উক্ত প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এতে করে দরিদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ সুবিধা পাবেন।
ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন বি এ, পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মুহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম জুবাইর, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ মিন্টু বলেন,যারা ঘর পাচ্ছেন তারা একেবারেই হতদরিদ্র। তারা এক সময় বেড়ার ঘরে জরাজীর্ণ জীবনযাপন করতেন। আশা করি আগামী দু’এক মাসের মধ্যেই উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে সবাই উঠতে পারবেন। ঘর পাওয়ার পর অনেকটাই ভালোভাবে থাকতে পারবেন তারা।