Logo
বাংলাদেশ[bangla_day] , [english_date]
  1. অনিয়ম
  2. অপরাধ
  3. অপহরণ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন শৃঙ্খলা
  6. আইন-আদালত
  7. আওয়ামীলীগ
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আলীকদম
  10. ইতিহাস ও গল্প

বান্দরবান থানচিতে মৌসুমি ফলজ আম বিক্রি হচ্ছে পানির ধরে

Link Copied!

বাংলাদেশে আম হলো ফলের রাজা এবং আম গাছ হলো জাতীয় গাছ। এখন দেশের সব অঞ্চলে পারিবারিক ও বানিজ্যিক ভাবে গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক হারে আম চাষ করা হচ্ছে।
এবছর সুুপার সাইক্লোন আমপানের কারনে পঞ্চিমাঞ্চল সহ দেশের বেশ কয়েক জেলায় আম চাষীদের বাগান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমপানের সেই বৈরী আবহাওয়া পার্বত্য বান্দরবান জেলায় এর প্রভাব না পড়ায় আম ভাল ফলন হয়েছে।

তবে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবের কারনে সরকারী ভাবে গণপরিবহন বন্ধ হেতু লকডাউনের কারনে ক্রেতাগণ উপস্থিত না থাকায় বাংলাদেশের জাতীয় গাছ ও ফলের রাজা হওয়া সত্বেও বান্দরবানের থানচিতে আম বিক্রি করা যাচ্ছেনা।

কথা হয় বিদ্যামনি পাড়া বাসিন্দা রবিন্দ্র ত্রিপুরা সাথে তিনি বলেন, আমার আড়াই একর পাহাড়ের জায়গা উপর রাঙোয়াই আম বাগান করেছি এখনও বিক্রি করতে পারিনি। কাকে বিক্রি করব, ক্রেতা তো নাই। একদিকে করোনার প্রার্দুভাবের কারনে কোন কাজ-কর্ম নাই, অন্য দিকে নিজের বাগানে আম গুলোও বিক্রি করতে পারছিননা।স্থানীয়রা মণে ২০০ টাকা উপরে দাম দিতে চাচ্ছে না।

বলিপাড়া ইউনিয়নের কমলা বাগান পাড়ার বাসিন্দা আম বাগানের মালিক মধুমঙ্গল চাকমা বলেন, এবছর আমার তিন একর জায়গা আম বাগানটি পানির দরে বিক্রি করে দিয়েছি। গত বছর এই বাগানটি এখানে দাঁড়িয়ে আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা উপর বিক্রি করেছি। এবছর আম কেনার লোক নই, যার ফলে গাছের উপর পচে যাওয়ার চাইতে যা পেয়েছি তা হাত ছাড়া না কর কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি।

প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় উপজেলার ৪০টিরও বেশী আম বাগানের ক্রেতা আম ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার বাসিন্দা মোঃ আবদুল আলমের সাথে। তিনি বলেন,লকডাউনের কারনে আম বিক্রি করা যাচ্ছে না। কেজি ৫০ টাকা উপরে বিক্রি করতে পারলেই আমার মূলধন উঠবে। অথচ এখন বাধ্য হয়ে কেজীতে ৪০/৪৫ টাকা দরে চট্টগ্রামে আম্রপালি বিক্রি করতে হচ্ছে, তাতেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা,বাকী আমগুলো কি হবে জানি না। আমার এই উপজেলায় ৪০টিও বেশী ছোট বড় বিভিন্ন মেয়াদে আম্রপালি ও রাংগোই আম বাগান চুক্তিতে কেনা ছিলো।

এই বিষয়ে বান্দরবান সদর কৃষি কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত থানচি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ উমর ফারুক বলেন,বর্তমানে লকডাউনের কারণে স্হায়ী পর্যায়ে সরকারী ভাবে গণপরিবহ বন্ধ থাকায় বিভাগীয়,জেলা ও উপজেলা শহরের সাথে  সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারনে স্থানীয় পর্য্যায়ে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রি ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই সমস্যা শুধু থানচি উপজেলায় নয়,সারা দেশের সমস্যা এমনকি সারা বিশ্বের সমস্যা। তাই আম বিক্রি করার ক্ষেত্রে একই সমস্যা হতে পারে। করার কিছুই নেই,বৈশ্বিক মহামারী ভোডিভ-১৯ করোনা ভাইরাস এ প্রাদুর্ভাবের কারনে এ সমস্যা হচ্ছে।