বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারের ফলে করোনা আক্রান্ত হয়েছে অনেকে।এই আক্রান্ত রোগীরা কেউ হাসপাতাল আইসোলেশনে ভর্তি আবার কেউ হোম কোয়ারেন্টেইনে চিকিৎসায় আছেন। এতে করোনা রোগীর পরিবার পরিজনেরা লকডাউনে ঘরবন্ধি হয়ে আছেন।

পরিবারের কর্তা যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন এরা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন। এই সময় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বহাদুর এমপির পক্ষ হয়ে এবং চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর সৌজন্যে অসহায় রোগীর পরিবারের কাছে ফরমালিন মুক্ত এবং ভিটামিনযুক্ত ফলসমগ্রী নিয়ে রোগীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুর থেকেই গাড়ীযোগে চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী সয়ং নিজে রোগীদের বড়ী বাড়ী গিয়ে এই ফরমালিন মুক্ত ফলসামগ্রীর প্যাকেটগুলো পৌঁছে দেন। ফলমূলের মধ্যে রয়েছে কলা, আনারস,আম, লেবু ইত্যাদি।
এমন ব্যাতিক্রম উদ্যোগ নেওয়ার কারণ উল্লেখ্য করে চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, গত রমজানের পর আমার শরীরের অবস্থা ভালো যাচ্ছিলো না। যখন দিন দিন শাররীক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছিলো তখন স্থানিয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে নমুনা টেস্ট করায়।
ওই নমুনার টেস্টে পজেটিভ আসে। আল্লাহ রহমতে আমি এখন পুররোপুরি সুস্থ আছি। তবে ওই আক্রান্তের সময় উপলব্ধি করতে পারেছি এ করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ভিটামিনযুক্ত ফলমূল বেশি বেশি করে খাওয়া। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এক মাত্র উপায় হলো ফলফ্রুট খাওয়া।তবে রোগীদের মাঝে সেই ফলমূলের ক্রয় ক্ষমতা সাবাইর থাকে না।
অনেকে অনেক কিছু রোগীকে দিয়ে থাকেন।তারমধ্যে এসব ফলমূল কেউ দেয় না। তাই আমি অসুস্থতার থেকে ফলমূল কত যে প্রয়োজন তা উপলব্ধি করে করোনা রোগীদের জন্য এইব্যাতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনির আরও বলেন,এ করোনা কালের শুরু থেকে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির পক্ষ হয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয়খাদ্যসামগ্রী, শুকনো খাবার,ইফারসামগ্রী ও তরিতরকারি ঘরবন্ধি মানুষের দোরগোড়ায় পৌছেঁ দিতে সক্ষম হয়েছি।
ছাত্রলীগ নেতা মুমিনুল আলম মুমু বলেন,অনেকে আর্থিকভাবে কষ্টে আছেন,তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের প্রিয় নেতা তসলিম ইকবাল চৌধুরী এ ব্যাতিক্রম উদ্যোগটি নিয়েছেন। এতে রোগীরা এসব ফলফ্রুট পেয়ে খুশি হয়েছেন।