বিশেষ প্রতিবেদকঃ বান্দরবান পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে কমিউনিটি ক্লিনিক সেন্টারে নিরাপদ পানি, টয়লেট,বিদ্যুৎ সংযোগ ও ৩২ প্রকার ঔষুধ থাকার কথা থাকলেও সব প্রকার ঔষুধ নেই।তাই সুযোগসুবিধা বাড়ানোর দাবী করেছেন উপকারভোগীরা।
সোমবার(২সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন(গ্রাউস) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন সমন্বয়ে শহরের হিলভিউ কনফারেন্স হল রুমে এক ইন্টারফেইস কর্মশালায় এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় জামছড়ি ইউনিয়নের মঞ্জয় পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা উল্লেখ করে হ্লা হ্লা চিং মারমা বলেন, তাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদ পানি নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, কমিউনিটি ক্লিনিকের সীমানা প্রাচীর নেই, নারী-পুরুষের আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা নেই বলে উল্লেখ করেন।
চিম্বুক পাবলা হেডম্যান পাড়ার লিউরু ম্রো কর্মশালায় বলেন, ম্রো নারীরা অনেকেই বাংলা বলতে পারে না। চিম্বুক এলাকাসহ দুর্গম এলাকায় ভাষাগত সমস্যার কারণে অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পায় না। প্রতিটি ক্লিনিকে হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার স্ব স্ব এলাকার লোক নিয়োগ দিলে সেবা প্রদানকারী ও গ্রহীতা একে অপরের ভাষা বুঝতে পারবেন।
গ্রাউস ও ওয়ার্ল্ড ভিশন এনজিও কর্মকর্তারা বলেন,ওয়ার্ড পর্যায়ে গড়ে ৬০০ জনকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে কমিউনিটি ক্লিনিক। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা আরো উন্নতমানের সেবা কিভাবে প্রদান করা যায় সে বিষয়েই প্রতিবছর একবার ইন্টারফেইস প্রোগ্রাম করা হয়। সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে কি কি সেবা আছে আর কি কি সেবা দরকার, গুনগত মান যাচাই করার পর কমিউনিটি ক্লিনিককে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
গ্রাউস এর চেয়ারম্যান মংথোয়াই চিং মারমা”র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গ্রাউসের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার উসাই মং মার্মার এর ওয়ার্ল্ড ভিশন স্পনসরশীপ চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার ভজন চিরান, জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য সিং শৈ মারমা, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা চিকিৎসক ভানু মারমা, বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।