নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান সদর উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়ন,৭ নং ওয়ার্ড লেমুঝিড়ি পাড়ায় বান্দরবান সেনা জোন ও রিজিয়ন জোন কমান্ডারের সার্বিক সহযোগিতায় ত্রিপুরা ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের,পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জনের সাথে বাহ্যিক জ্ঞানকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে একটি পাঠাগার স্থাপন করেন।
ভাষার এই মাসে মহিমান্বিত একটি দিন একুশে ফেব্রুয়ারি।দিনটাকে স্মৃতিময় করে রাখার লক্ষ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি(বুধবার)সকাল ১১ টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান পিএসসি, ছাত্রাবাসের লাইব্রেরী উদ্বোধন করেন।
পরে বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম জেলা শাখার
আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে,জোন কমান্ডার লে:কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান পিএসসি বলেন,’সত্যিকার বৈদগ্ধ ও চিৎ প্রকর্ষের অধিকারী হতে হলে লাইব্রেরির সঙ্গে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করা অবশ্যই প্রয়োজন।এই পটভুমিতে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মানসে এই পাঠাগার স্থাপন করা হয়।শুধু শহরে নয় দূর্গম পাহাড়ের বসবাসরত,সকল জনগোষ্ঠীর জন্য আমরা কাজ করছি।আমরা চাই পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকুক।
তিনি আরও বলেন,ফেব্রুয়ারি মাস ভাষা শহীদদের মাস। এই মাস ও দিনকে গভীরভাবে স্মরণ করতে এই দিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।ভাষা শহীদের বিনিময়ে আজ আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ডে বসবাস করছি।পেয়েছি স্বাধীন রাষ্ট্র তাদের এই আত্ম ত্যাগ কখনো আমরা ভুলবো না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন পাঠ্যপুস্তক হতে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি লাইব্রেরী মানুষের বাহ্যিক জ্ঞানকে আরো বেশি প্রসারিত করে। তোমরা আগামী ভবিষ্যৎ। বই পড়া মানুষকে যেমন আনন্দ দেয় তেমনি জ্ঞানী করে তোলে। সুতরাং সবকলের প্রতি এই আহবান থাকবে যে, এই পাঠাগারটিকে সদ্য ব্যবহার করে অর্জিত জ্ঞানকে নিজের দেশের জন্য বিলিয়ে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি । সেনা রিজয়নের এই মহতী কর্মকাণ্ডগুলো বর্তমানে ন্যায় ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,মেজর,এম এম ইয়াসিন আজিজ,সাব জোন কমান্ডার,রোয়াংছড়ি,জেলাপরিষদ সদস্য সত্যহা পানজি ত্রিপুরা,এ্যাড:খুশিরায় ত্রিপুরা, সভাপতি,ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ,বান্দরবান জেলা শাখা,৩নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান অংসাহ্লা মারমা,লাভেদ ত্রিপুরা, সভাপতি, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম,বাংলাদেশ, বান্দরবান জেলা শাখা,ইউপি সদস্য,মুনছুর আলম সহ ত্রিপুরা ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য যে,সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় কবলিত হয়ে বান্দরবান ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।ছাত্রাবাসের লাইব্রেরীসহ পুরো ছাত্রাবাস টি বন্যার হাত থেকে রেহাই পায়নি।নষ্ট হয়েছে বহু সংগ্রহীত বই,আসবাবপত্র ও ছাত্রদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।ত্রিপুরা ছাত্র সংগঠন সেনা রিজিয়নে ছাত্রাবাস ও ছাত্রাবাসে স্থাপিত লাইব্রেরীর সংস্করণ ও সরঞ্জামাদি চাহিদা করলে সেনা রিজিয়ন কর্তৃক তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ছাত্রাবাসের লাইব্রেরীতে একটি বুকসেলফ,৩০ টি চেয়ার, দুইটি টেবিল এবং একশত বিভিন্ন প্রসিদ্ধ লেখকদের বই প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বে বান্দরবান সেনা জোন ও রিজিয়ন কর্তৃক একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই, শিক্ষা উপকরণ, শীতবস্ত্র ও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যেও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।