নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবান নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতার পর গেল বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সাথে প্রথম শান্তি প্রতিষ্ঠার বৈঠক হয়। পরবর্তীতে সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লাসহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সাথে আলোচনা ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর থেকে এলাকা গুলোতে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয় ও দীর্ঘদিন পর পাড়াবাসীরা নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করে। তবে এ শান্তি বেশিদিন টেকসই হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সংঘাত, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও পাহাড়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে নতুন করে আলোচনায় আসছে কেএনএফ এর নাম।
জানাযায়, অতিসম্প্রতি রোয়াংছড়িতে ঘুরতে গেলে দুইজন প্রবাসী পর্যটকের কাছ থেকে বালু পাহাড় এলাকায় তারা মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানায় একটি অুভযোগও দায়ের করেছেন পর্যটকরা।
এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ পারভেজ আলী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কে বা কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘটনার পর বালু পাহাড় এলাকায় টহলে নামে সেনাবাহিনীর বান্দরবান সেনাজোন। বৃহস্পতিবার (১১ই জানুয়ারি) সকালে নিরাপত্তা টহলের সময় রোয়াংছড়ি থেকে৩ কিলোমিটার দুরে বালু পাহাড় এলাকার সড়কের পাশে একটি পাহাড়ের উপর কেএনএফ এর ৭টি বাঙ্কার ও তাদের চলাচলের অবস্থান সনাক্ত করে সেনাবাহিনী।
এদিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতির খবর পেয়ে তারা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পালিয়ে যায়। পরে এসব বাঙ্কার থেকে রাত্রে থাকার জন্য কম্বল বালিশ ও গুলির কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনীর রোয়াংছড়ির সাবজোন কমান্ডার জানান, কেএনএফ সদস্যরা সেখানে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছিল। তাদের বড় ধরনের নাশকতা করারও পরিকল্পনা ছিল। তিনি বলেন, সরেজমিনে ঘুরে ধারণা করা হচ্ছে, ঐ স্থানটি চলাচলের সড়কের চেয়ে উচু হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষের উপর যে কোন ধরনের হামলা চালানোর সুবিধার্থে এই বাঙ্কারে অবস্থান নিয়েছিল পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর সদস্যরা।
এদিকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির অন্যতম সদস্য রেভা পাকসীম বম জানান, শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখোমুখি বৈঠকের পর এলাকায় বসবাসকারী সকলে খুবই আনন্দে দিন কাটাচ্ছে। ঠিক এ মূহুর্তে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অত্যান্ত দুঃখ জনক। তিনি এ বিষয়ে বম স্যোশাল কাউন্সিল এর সভাপতি লালজার লম বম এর মাধ্যমে কেএনএফ প্রধান নাথান বম এর সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের করবেন বলেও জানান।এঘটনার পর এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পাড়াবাসীদের মনে।।