প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া সীমান্ত উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ির, ঘুমধুম ইউনিয়নের বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক সুস্থ হয়ে ১০ দিন পর বাড়ি ফিরে গেলেন।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন উজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা পজেটিভ সনাক্ত আবু ছিদ্দিক (৫৯) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা। ৬ এপ্রিল ঢাকা থেকে তাবলীগ জামাত শেষে নিজ বাড়িতে আসেন।
উপজেলা প্রশাসন খবর পাওয়ার সাথে সাথে তাকে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার নির্দেশ দেন এবং (১৫ এপ্রিল) নমুনা সংগ্রহ করে (১৬ এপ্রিল) নমুনার রিপোর্টে পজেটিভ আসে।ওই দিনই তাকে হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা দিলেও একদিন পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে রোগীকে রাখা হয় নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে।
এক সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকার পর গত (২৩ এপ্রিল) দ্বিতীয় বার নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। (২৪ এপ্রিল) নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। নিয়ম অনুযায়ী আইসোলেশন থাকা ওই রোগীসহ হাসপাতালে সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়ের নমুনাও সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ২৫ এপ্রিল।করোনা সনাক্ত রোগী নমুনা টেস্ট ছিলো তৃতীয় দফার রিপোর্ট বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগ ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আবু জাফর মো. ছলিম জানান, রবিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে তৃতীয় বারের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন, করোনা পজেটিভ পাওয়া আবু ছিদ্দিকের দুই দফা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় তাকে আমরা মোটামুটি সুস্থ বলতে পারি। তাকে আমরা ঘরে ফিরিয়ে যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছি। ন্যাশনাল গাইড লাইনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি ঘরে গিয়ে আবারও ৭দিন হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার পর ওই সাত দিনের মাথায় চতুর্থ বারের নমুনা সংগ্রহ করে ওই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তাকে চুড়ান্ত ভাবে দাবী করা যাবে রোগী পুরোদমে সুস্থ। তখন সে সমাজে চলাফেরা করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না।