‘সবার জন্য টিকা এবং সবার জন্য ঔষধ (এমভিডিএ) শীর্ষক প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৮ মার্চ)বেলা দুইটায় বান্দরবানে সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে,ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশনের ও বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় ম্যালেরিয়া নির্মূলে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ সম্মেলন,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রধান গবেষক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মোঃ আবুল ফয়েজ।ডা:এম এম নয়ন সালাউদ্দিনের সঞ্চালনা,সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা: মো:মাহবুবুর রহমান।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক মোঃ আবুল ফয়েজ বলেন,দেশের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলায়(বিশেষ করে বান্দরবান জেলায়)ম্যালেরিয়ার সংক্রমণসবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ সরকার পর্য্যায়ক্রমে ২০৩০ সাল নাগাদ ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।বর্তমান চলমান সেবা দিয়ে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে।চলমান সেবা:মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য কীটনাশকযুক্ত মশারী এবং অন্যান্য চলমান প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা;বাড়ির কাছের স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে দ্রুত ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয় করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান;ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা প্রদান।
তিনি আরও বলেন,বিজ্ঞানীদের মতে,ম্যালেরিয়া নির্মূলের চলমান সেবার পাশাপাশি সবার জন্য ‘ম্যালেরিয়ার টিকা এবং ঔষধ প্রয়োগ হতে পারে যুগোপযোগী পদক্ষেপ।সে লক্ষ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূলে নতুন টিকার কার্যকারিতা নিয়ে একটি গবেষণাকার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই গবেষণায় যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ম্যালেরিয়ার টিকা ব্যবহার করা হবে(দ্যা আর টুয়েন্টিওয়ান ম্যাট্রিক্স এম,ম্যালেরিয়ার টিকা,The R21/ Matrix – M malaria vaccine)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) কর্তৃক অনুমোদিত এই টিকা ইতোমধ্যেই ৭৭% উচ্চ কার্যক্ষমতা আছে বলে প্রমানিত হয়েছে।এটি ম্যালেরিয়ার জন্য উদ্ভাবিত ২য় টিকা এবং উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনিস্টিটিউট ।ঔষধ’ হিসাবে, (DHA PQ) ডি এইচ এ পাইপ্যারাকুইন ব্যবহার করা হবে।গবেষণাটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার লামা ও আলিকদম উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১০০ পাড়া/ গ্রামের প্রায় দশ হাজার লোককে নির্বাচিত করা হবে এবং এই ১০০ গ্রামের দশ হাজার জনগনকে দৈবচয়নের মাধ্যমে সমানভাবে মোট ‘চারটি ক্লাষ্টার’ বা গ্রুপে ভাগ করা হবে। ম্যালেরিয়া নিমূর্লের লক্ষ্যে সবার জন্য টিকা এবং সবার জন্য ঔষধ গবেষণাটির উপর অধিক গুরত্বারোপ করেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন,ডা:অং চালু,সহকারী পরিচালক সিসি,জেলা পরিবার পরিকল্পনা,অধ্যাপক ডাঃ আমির হোসেন,অধ্যাপক ডাঃ রাশেদা সামাদ,অধ্যাপক ডাঃ আব্দুস সাত্তার,ডাঃ রুমানা রশীদ,ডাঃ রুপম ত্রিপুরা এবং জেলায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক।