মিফতাহুল জান্নাত মেঘা। একজন ফ্রিল্যান্সার। অদম্য মেধা আর সাহস নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন নিজের মা-বাবা আর চার ভাই বোনের। দুশ্চিন্তা দুর করেছেন মা ও শিক্ষক বাবার।
মেঘা জানায়, করোনা কালে মানুষ যখন ঘর বন্দী তখন সে নেট দুনিয়া ঘাঁটাঘাঁটি করে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারে। তারপর জীবনে সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ। এরপর আর পিছনে ফিরতে হয়নি, পরিবারের বোঝা না হয়ে নিজের হয়ে উঠেছে বাবা-মায়ের সম্পদ। হাল ধরেছেন শিক্ষক বাবার পরিবারের।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানায় ধলেশ্বর গ্রামের ১৮ বছর বয়সী মেঘা জানান, প্রত্যেক বাবা মা চান তাদের সন্তানেরা সফলতা অর্জন করুক। সে কারণে আমি চাই ভালি কিছু করে বাবা মায়ের পাশে দাঁড়াতে, তাদের মুখ উজ্জ্বল করতে। আমি মানুষের কাছে ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিত হতে চাই।
মেঘা আরো জানান, মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলেই বিয়ে করে সংসার করে জীবনটাকে কাটিয়ে দিতে হবে এমনটি হওয়া উচিত নয়। মেয়েদেরও রয়েছে দেশের উন্নয়নে কাজে পাশে থাকার অধিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মেয়ে হয়ে দেশ পরিচালনা করছে, আমরাও তাকে দেখে ভাল কিছু করার অনুপ্রাণিত হতে পারি।
শুধু বেঁচে থাকার মধ্যে জীবনের সার্থকতা নয়। জীবনের সার্থকতা পেতে হলে সু নিদিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা করতে হবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আত্মবিশ্বাসের সাথে দৃঢ় ভাবে কাজে লেগে থাকতে হবে। এটা ছাড়া সাফল্যের আর কোন পথ নেই। তাই সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের যেমন সু নিদিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে তেমনি করতে হবে পরিশ্রম। তা না হলে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না। সফলতা তাদের জন্য যাদের লক্ষ্য আছে এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য চুপচাপ অক্লান্ত পরিশ্রম করার গুণ রয়েছে।