1. soccergames24@gmail.com : babul khan : babul khan
  2. 1234567889@gmail.com : Khaled Mahabub Khan Arafat : Khaled Mahabub Khan Arafat
  3. shebabslinfg@gmail.com : Babul Khan : Babul Khan
  4. mhkbkhan@gmail.com : Mahabub Hassan Khan : Mahabub Hassan Khan
বান্দরবানের ফুলঝাড়ুর চাহিদা বাড়ছে দেশের অন্নান্য জেলাতে - paharkantho
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নাইক্ষ্যংছড়িতে সবজি ব্যাবসায়ীর লাশ মিললো খালে। নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ঘুমধুমে যুব সমাজের উদ্যোগে রাস্তা মেরামত ঘুমধুম খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের পঁচনধরা মরদেহ উদ্ধার বান্দরবানের থানচি-রুমা পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

বান্দরবানের ফুলঝাড়ুর চাহিদা বাড়ছে দেশের অন্নান্য জেলাতে

মোঃশহীদুল ইসলাম রানা
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৩২৪৪২ জন নিউজটি পড়েছেন

বান্দরবান সংবাদদাতাঃপাহাড়ের পাশ ঘেষে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মনেয় ফুলঝাড়ুর প্রধান কাচাঁমাল “ফুল ঝাড়ু গাছ”।

পার্বত্য বান্দরবানে ফুলঝাড়ু ব্যাবসার একটি প্রাকৃতিক কারখানা।দিনদিন এ জেলার ফুলঝাড়ুর চাহিদা বাড়ছে দেশের অন্যান্ন জেলাতে।

কারণ অন্যান্য ঝাড়ুর চেয়ে এখানের ফুল ঝাড়ুর কাঁচামালের গুনগত মান ভালো ও দেখতে সুন্দর, টিকে বেশিদিন ও দামে কম তাই দেশের অন্যান্ন জেলার পাইকারি ব্যাবসায়িরা এখান থেকেই ফুলঝাঁড়ু সংগ্রহ করে বেশি।

পাহাড়ের এ ফুলঝাড়ু বিক্রি উপর নির্ভর করে পাহাড়ের হাজার খানেক পরীবার, চলে হাজার মানুষের জীবন ও জীবিকার কর্মজগ্য।

বান্দরবান পৌর এলাকার হাফেজগোনা,নতুন বাস টার্মিনালের পাশে বিশাল খোলা মাঠ। সেখানেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার স্থানীয় বাজার ও বিভিন্ন পাহাড়ি পল্লী থেকে সংগ্রহ করা ফুলঝাড়ু সারিবদ্ধভাবে শুকানোর প্রকৃয়া করা হচ্ছে। ১০-১৫ দিন শুকানো শেষেই এসব ফুলঝাড়ু পাইকারের মাধ্যমে পৌছে যাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

বান্দরবানের হাফেজ গোনা,নতুন বাস টার্মিনালের পাশেই ফুলঝাড়ুর আড়ৎ,আড়ৎদার মোঃ মাহাবুব,পটুয়াখালী জেলার,কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা,তিনি বান্দরবানে ফুলঝাড়ু ব্যাবসার সাথে জড়িত আছেন ২ যুগেরো বেশি সময় ধরে।

মূলত জোলার বিভিন্ন উপজেলা হতে মাঠ পর্যায়ে ফুলঝাঁড়ু সংগ্রহ করে তা প্রকৃয়াজাত অর্থাৎ শুকানোর পড় তা দেশের বিভিন্ন জেলাতে পাইকারি ব্যাবসায়িদের কাছে পৌছে দেয়ার কাজটি তিনি করে থাকেন।

সম্প্রতি এ পেশার সঙ্গে পাহাড়ি সহ বাঙালি জনগোষ্ঠীর লোকজনও জড়িয়ে পড়েছেন। সময়ের ব্যবধানে পাহাড়ের ফুলঝাড়ুতে সমৃদ্ধ হচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি। সমতলেরজেলাগুলোতে পাহাড়ের ফুলঝাঁড়ুর কদরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন বান্দরবানে আসা পাইকারি ব্যাবসায়ীরা।

এক হাত দুই হাত বদলে বান্দরবানের ফুলঝাড়ু রফতানি হচ্ছে রাজধানী ঢাকা সহ নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইলের মতো বড় বড় জেলা সদর ও উপজেলা শহরে।
পাহাড়ের স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বেশিরভাগ জনসাধারণ জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল হলেও জুমচাষের ফসল ঘরে তোলার পর পৌষ মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত ঝাড়ুফুল বিক্রি করেই তাদের বাড়তি উপার্জনের পথ খুলেছে।

সাধারনত ৭-১০টি ফুলে একটি আঁটি। আর এমন একটি আঁটি পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ১০-১২ টাকায়। এভাবেই ১০০ আঁটি ফুলঝাড়ু বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়।

আড়ৎদার মোঃ মাহাবুব,তিনি বলেন অনেকেই পাহাড় থেকে সংগ্রহের পর অধিক মুনাফার জন্য তা নিজেরাই খুচরা বাজারে সরাসরি বিক্রির জন্য নিয়ে আসে আবার অনেক আড়ৎদার বা পাইকার তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে ফুলঝাঁড়ু কিনে থাকেন ।

সাধারনত একজন মাঠপর্যায়ের সংগ্রাহক এক মৌসুমে পাহাড় থেকে সংগ্রহ করা ফুলঝাড়ু বিক্রি করে আয় করে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তার মতে পুঁজি দিয়ে কৃষি কাজের চেয়ে বিনা পুঁজিতে বছরে তিন মাস ফুলঝাড়ু সংগ্রহে অধিকতর লাভজনক।তবে আগের চেয়ে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে অনেক আড়ৎদার অগ্রীম টাকা দিয়ে থাকে ফুলঝাঁড়ু সংগ্রহের জন্য।

এ ব্যাবসার সাথে জড়িত জেলার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িরা জানান তাদের জন্য সরকারি ভাবে ঋনের ব্যাবস্থা করা গেলে আগামীতে এ ব্যাবসার প্রসারতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

জেলার অর্থনিনীতেও অবদান রাখছে এই ফুলঝাঁড়ু,জেলা হতে দেশের বিভিন্ন জেলাতে পাঠানোর জন্য  ফুলঝাঁড়ু প্রতি বুরুমে সরকারি রাজস্ব  জমা দেয়া লাগে ৩৫ পয়সা করে।

এ বিষয়ে জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন বান্দরবান থেকে এ ঝাড়ু পরিবহন করে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে নেয়া হচ্ছে । আর এই পরিবহনের অনুমতি জন্য সরকারিভাবে আমরা রাজস্ব গ্রহণ করে।

তিনি আরো বলেন, প্রতি ফুলঝাড়ুর ব্রোম প্রতি ৩৫ পয়সা করে রাজস্ব সরকারের ফান্ডে জমা হয়। যার হিসেবে প্রতিটি ট্রাকে আমরা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত রাজস্ব সরকারের তহবিলে জমা দিচ্ছি। এতে অর্থনৈতিক ভবেও অবদান রাখছে পাহাড়ের ফুলঝাঁড়ু।সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই শিল্প আরো সমৃদ্ধ হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
jp-354c8c03daee477a362a