সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগ, নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক জাবালে নূরের চালকদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসি দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা এ সড়ক অবরোধ করেন।
এদিকে, কারওয়ান বাজার নর্দান ইউনির্ভাসিটির সামনে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে বলেও জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত নৌমন্ত্রী ক্ষমা না চাইবেন ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।’
একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের আরও দাবির কথা তুলে ধরেন। সেগুলো নিচে দেয়া হল:
১. নৌপরিবহন মন্ত্রীসহ সকল সংসদীয় কমিটি, মালিক-শ্রমিক ফেডারেশন ও মন্ত্রিত্ব থেকে সবার পদত্যাগ।
২. ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের ন্যায্য দাবি আদায়।
৩. পেশাদার লাইসেন্স প্রদানে স্বচ্ছতা আনা।
৪. সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির বিধান।
৫. বিগত দিনের সকল দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ।
৬. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় ওভারব্রীজ দিতে হবে।
৭. বিশেষ করে এমইএস এলাকায়, ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।
৮. সকল প্রকার দলীয় আচরন ত্যাগ করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা।
৯. পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ আইন প্রনয়ন।
১০. ক্ষতিগ্রস্তদের বাস্তবসম্মত ক্ষতিপূরণ, গাড়ির ফিটনেস ও স্টুডেন্ট হাফ পাশ কার্যকর।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয় আরও ক’জন। দুপুর ১টার দিকে উত্তরাগামী জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস মিরপুর ফ্লাইওভার থেকে নেমে অন্য আরেকটি বাসের সাথে পাল্লা দিলে কুর্মিটোলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ফ্লাইওভার থেকে নামার পর উত্তরাগামী আরেকটি বাসের সাথে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দেয় জাবালে নূর বাসটি। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল শিক্ষার্থীরা। বেপরোয়া গতির কারণে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর তুলে দেন চালক। ঘটনার পরপরই আশপাশের এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবারও বিমানবন্দর সড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।