1. soccergames24@gmail.com : babul khan : babul khan
  2. 1234567889@gmail.com : Khaled Mahabub Khan Arafat : Khaled Mahabub Khan Arafat
  3. shebabslinfg@gmail.com : Babul Khan : Babul Khan
  4. mhkbkhan@gmail.com : Mahabub Hassan Khan : Mahabub Hassan Khan
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলাচাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে,লাভবান হচ্ছে চাষীরা - paharkantho
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নাইক্ষ্যংছড়িতে সবজি ব্যাবসায়ীর লাশ মিললো খালে। নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ঘুমধুমে যুব সমাজের উদ্যোগে রাস্তা মেরামত ঘুমধুম খাল থেকে অজ্ঞাত যুবকের পঁচনধরা মরদেহ উদ্ধার বান্দরবানের থানচি-রুমা পর্যটক ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার রুমায় কৃষকের বসত বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই বান্দরবানে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা আটক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্যসচিব আশরাফুল ফরহাদ-কে অব্যহতি সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২ বছর পর ঘরে ফিরল বম পরিবার থানচিতে খেয়াং নারীর মৃত্যুকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলাচাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে,লাভবান হচ্ছে চাষীরা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪
  • ৩১২৮১ জন নিউজটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলাচাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন কর্মশালায় অংশগ্রহণকরারী কৃষিবিদ ও চাষীরা।

শুক্রবার (৭জুন) দিন ব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলাচাষ সম্প্রসারন শীর্ষক কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন তুলা চাষী ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক পরিচালক কৃষিবিদ নাসির উদ্দিন তিনি প্রবন্ধে উল্লেখ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় শুধু জুম চাষের সময় সাথী ফসল হিসেবে তুলা চাষ করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে তুলা চাষ করা হচ্ছে। যেমন পোকা দমন,আগাছা পরীস্কার করা,সার প্রয়োগ, এমনকি পরিপক্ক তুলা সংগ্রহে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক মেশিন। এখন সমতল ভুমিতে তুলাচাষে সাথীফসল হিসেবে, বিভিন্ন শাকসবজীও চাষ করা হচ্ছে পরিবেশ সম্মতভাবে। বান্দরবান জেলায় ৭টি উপজেলায় আপল্যান্ডে তামাক চাষ এর পরিবর্তে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮.১৭ হেক্টর জায়গায় ২০.৩২ মেট্রিকটন ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৮.৪৮ হেক্টর জায়গায় ২৩.২৪ মেট্রিকটন তুলা উৎপাদন হয়েছে বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।

বান্দরবান সদর উপজেলা সদর ইউনিয়নের লেমুঝিড়ি এলাকার নারী তুলাচাষী মেরী ত্রিপুরা বলেন তিনি দুই মেয়ে সন্তানের মা গত ২০১৯ সাল থেকে তুলা চাষ করছেন। বিশ শতক জায়গায় তুলাচাষ শুরু করেছিলেন চলতি বছর এক একর (একশ শতক) জমিতে তুলা চাষ করে প্রতিমণ ৩হাজার ৯শত টাকা ধরে ১৬মণ তুলা বিক্রি করেছেন। সাথী ফসল হিসেবে মিস্টি কুমড়া, ভুট্টা চাষ করেছেন। ভুট্টাও প্রায় ৩হাজার টাকার, মিস্টি কুমড়া ২হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। তুলা বীজ,ঔষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হয় পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে। তুলা পরিপক্কতা হলে সংগ্রহ করে পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্র ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করার কারনে তুলা উৎপাদনে কোন সমস্যা হচ্ছে না এবং দিন দিন তুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান এই নারী তুলাচাষী।

বান্দরবান সদর উপজেলা জামছড়ি এলাকার আরেক তুলাচাষী গসিং অং মারমা,আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে পরীক্ষা মূলকভাবে মাত্র ৩০শতক জায়গায় তুলা চাষ করে ১৫মণ তুলা পেয়েছেন এবং প্রতিমণে ৩৮০০ টাকা ধরে বিক্রি করে ৫৭হাজার টাকা পেয়েছেন। তাই তিনি এবার আরো বেশী করে ৮০শতক জায়গায় তুলা চাষ করবেন বলে জানান তিনি। তবে তার অনুরোধ তুলা পরিবহনে সকল টেক্স মুক্ত করার আহবান জানান।

বান্দরবান বালাঘাটায় অবস্থিত পাহাড়ী তুলা গবেষণা কেন্দ্র, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মং সানু মারমা”র সঞ্চালনায় কর্মশালায় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ ফখরে আলম ইবনে তাবিব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আহবায়ক সি অং খুমী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এম এম শাহ নেয়াজ। অনুষ্টানে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভাগের কৃষিবিদ কর্মকর্তাগণ ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তুলাচাষীরা এ কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
jp-354c8c03daee477a362a