নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যতদিন শান্তির পথে আসবে না,ততদিন যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।স্বাধীন দেশে অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠন থাকবে না।
বান্দরবানে ২ এপ্রিল রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ,টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আজ ৱ্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন একথা বলেন।
বুধবার(১৭ এপ্রিল) বান্দরবান সার্কিট হাউজে বিকাল ৩ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন,স্বাধীন দেশে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনো অবৈধ সশস্ত্র সংগঠন থাকবে এটা আমরা চাই না। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে রুমা ও থানচিতে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করলে আমরা তাদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করবো । তাদেরকে শান্তির পথে ফিরে আসার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ তারা যদি চায়, জেলা প্রশাসক, শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি, ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো মাধ্যমে আলোচনা করে শান্তি পথে আসতে পারবে। তারা যে মাধ্যমে শান্তির পথে ফিরতে চায়, আমরা সব ধরনের সুযোগ রেখেছি। যতদিন শান্তির পথে আসবে না, ততদিন যৌথ অভিযান চলমান থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস্),কর্নেল মোঃ মাহাবুব আলম,বান্দরবান শাখা ডিজিএফআই কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ জামশেদ, বান্দরবান বিজিবি সদর সেক্টরের কর্নেল সোহেল আহমেদ,বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে।টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পাহাড়ায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। ১৬ ঘন্টার ব্যবধানে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি করে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।অপহরণের দুইদিন পরে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে রুমা থেকে উদ্ধার করে র্যাব।সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন সেনাবাহিনী,বিজিবি,র্যাব,পুলিশ ও আনসার সদস্যরা,অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
এই পর্যন্ত যৌথ অভিযানে ১৮জন নারীসহ ৬৩ জনকে থানচি ও রুমার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।