গত ৪ এপ্রিল ছিল বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক মূহুর্ত। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর যে অপূর্ণতা ছিল সেটা পূরণ হলো সেতুর উপর দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলার মধ্যে দিয়ে।অন্যদিকে পাথরবিহীন রেলপথ দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে যুক্ত করলো আরেকটি নতুন মাইলফলক।
সূত্রমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম তৈরি হল পাখরবিহীর রেলপথ। পাথর ছাড়াই রেলপথ তৈরি করে গোটা বিশ্বকে চমক দেখালো বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত যেখানে পাথরবিহীন রেল পথের ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ সেটা করে দেখালো। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে বলা যায়।(সূত্র:প্রথম কলকাতা)
পাথরবিহীন এই রেল পথে যাত্রীদের ভ্রমণ হবে ঝাকুনিমুক্ত ও আরামদায়ক। পাথর বিছানোর চিরাচরিত ধারণা থেকে বেরিয়ে পদ্মা সেতুর ১৩.৩ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করা হয়েছে পাথর ছাড়ায়।
প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র রায় জানান, প্রথমে সেতুর স্পেনের উপর লোহার খাঁচা তৈরি করা হয়। তার উপর স্থাপন করা হয়েছে রেল ট্র্যাক।পদ্মা সেতুর উপর এক একটি রেল ট্র্যাক’র দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ মিটার। প্রত্যেকটিতে প্রায় ৪২টি স্লিপার রয়েছে। রেল ট্রাক আর স্লিপার কনক্রিট দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। পদ্মাসেতুর পাথরবিহীন এই রেল পথ দিয়ে ট্রেন ছুটবে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,বাংলাদেশের গর্ব পদ্মা সেতু। পদ্মা স্রোতশীল নদী, পদ্মার পানি অনেক উচুতে উঠে,পাথর বিহীন রেল পথ তৈরিতে অনেক বিনিয়োগও করতে হয়। নরম, ময়লা রাস্তা কিংবা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকায় পাথর বিহীন রেল পথ তৈরি করা সহজ কথা নয়। কিন্তু পরিবেশ বান্ধাব এই পাথরবিহীন রেল পথ তৈরি করে বাংলাদেশ তার সফলতায় যুক্ত করলো নতুন আরেকটি পালক।