মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহঃজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে, সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানে ৩ দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলার শুভ উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে, স্থানীয় সরকার বিভাগ এর সহযোগিতায়,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধন হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি।
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম,প্রাক্তন উপাচার্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।বিশেষ অতিথি হিসেবে জনাব ক্য শৈ হ্লা মার্মা,চেয়ারম্যান, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ,লেঃ কর্ণেল কাজী নাদির হোসেন,অধিনায়ক ডিজিএফআই বান্দরবান, লেঃ কর্ণেল মোঃ মঈনুল হক, জোন কমান্ডার, বান্দরবান সেনাজোন, জেরিন আখতার,পুলিশ সুপার বান্দরবান, ডা.অংসুইপ্রু মার্মা,সিভিল সার্জন, বান্দরবান।এছাড়াড়াও জেলার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বই মেলা উপলক্ষে নিজের লেখা কিছু বই মেলায় প্রদর্শনীর জন্য জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।এ সময় তিনি বলেন বই আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা বলেন, পার্বত্য এই জনপদে অনেক সম্প্রদায়ের বসবাস।দুর্গম বহু এলাকায় অনেক গুনী জনের জন্ম ও বেড়ে উঠা।তারা প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও তাদের জ্ঞানের ভান্ডার অফুরন্ত।পার্বত্য মন্ত্রীর পরামর্শে আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ হতে পদক্ষেপ নিচ্ছি,সকল সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-ঐতিহ্য সমূহ,সম্প্রদায়ের কবি ও লেখকদের লেখনি গুলো সংরক্ষণ করে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।বঙ্গবন্ধুর কারনে আজ আমরা মাতৃভাষায় নিজেদেরকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করতে পেরেছি।মন্ত্রী আরো বলেন বই হলো জ্ঞানের ভান্ডার।জ্ঞান অর্জনে বইয়ের বিকল্প নাই।বই মেলা শুধু মেলা নয়,জ্ঞান পিপাসুদের জ্ঞান অর্জনের সম্ভার।যে বই সচরাচর পাওয়া যায় না সেই বই মেলায় পাওয়া যায়। স্কুল,কলেজের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ও আগত অতিথিবৃন্দ মেলায় ষ্টল (৪১ টি) সমূহ পরিদর্শন করেন। মেলার প্রতিটি ষ্টলে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কিত বই এর পাশাপাশি অন্যান্য বই সমূহ রাখা হয়েছে।এছাড়াও মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।