নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাট-বাজার গুলোতে এক লাফে বেড়ে তিন গুন দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ২৫-৩০ টাকার পেঁয়াজ এখন দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এসব হাট বাজারে কাচা মরিচ প্রতি কেজি ৩শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
সরজমিনেে গিয়ে দেখা যায় একদিকে মরিচের জাল অন্যদিকে পেঁয়াজের ঝাঁজ এই দুই পণ্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে । এসব পণ্যের দাম চড়ামূল্যে হওয়ার পরও এখনোও পর্যন্ত সরকারের তদারকি টিম মাঠে নেই। এ কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে জানান অনেক ক্রেতা।
এসব এলাকার সাধারণ মানুষ অনুভূতি ব্যক্ত করে গণমাধ্যমকে বলেন. ভারতের ঘোষণার পরেই নাইক্ষ্যংছড়িসহ আশেপাশের খুচরা বাজারে রাতারাতি মশলাজাতীয় পণ্যটির দাম বাড়ায় অনেক ক্রেতাই পেঁয়াজ কিনতে এসে শূন্য হাতে ফিরে গেছেন। আবার অনেকে সরকারের বদনাম করে কিংবা ব্যবসায়ীদের সাথে গালমন্দে জড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর সালাহ আহাম্মদ বাজার, বাইশারী, ঘুমধুম, তুমব্রু, দোছড়ি, সোনাইছড়ি ও রামুর গর্জনিয়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভারত রফতানি বন্ধের পরদিনই দেশে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৭০-৮০ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় গত সোমবার ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ায় হঠাৎ করেই অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সরকারের নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করার অভিযোগ করেন সচেতন মানুষ। দাম বৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু দোকানেই পেঁয়াজ না পেয়ে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে ক্রেতাদের।
বিশেষ করে রামু গর্জনিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কোনো কোনো দোকানে দেশি পেঁয়াজের দাম আরো বেশি হাঁকাতেও দেখা গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন মঙ্গলবার বিকেল থেকেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আবুল কশেম ও সিরাজ বলেন তাদের কাছে কিছু পেঁয়াজ ছিল তা বিক্রি হয়ে গেছে। আজ যে কত দামে কিনে কত দামে বিক্রি করব, তা বলতে পারছি না। নাইক্ষ্যংছড়ির জহির উদ্দিন, বাইশারীর আবু তাহেরসহ অনেকে মনে করেন ভারতের ঘোষণার সাথে সাথে বাংলাদেশে এ ভাবে দাম কেন বৃদ্ধি হবে? বাংলাদেশে কি ৩ দিনেরও পেঁয়াজ মজুদ ছিল না।
তাই এলাকাবাসী এ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।