গত বুধবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের ম্রাউক-ইউ শহরের একটি হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা সরকারের যুদ্ধবিমান। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ জন নিহত এবং ৬৮ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঘটনাস্থলে থাকা ত্রাণকর্মী ও সংঘাত পর্যবেক্ষকরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ত্রাণকর্মী ওয়াই হুন আউং জানিয়েছেন, হামলার পর হাসপাতালের বাইরে অন্তত ২০টি ঢাকা দেওয়া মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতিকে তিনি “ভয়াবহ” বলে বর্ণনা করেন।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং প্রতি বছরই বিমান হামলার সংখ্যা বাড়িয়েছে জান্তা। এর মধ্যেই সেনাবাহিনী আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, যা তারা বলছে—সংঘাত থেকে উত্তরণের পথ। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এর বিরোধিতা করছে এবং সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণহীন এলাকায় ভোট হতে দেবে না বলে জানিয়েছে।
রাখাইন প্রদেশের প্রায় পুরো অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে রাখাইনভিত্তিক জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। অং সান সু চির সরকার উৎখাতের বহু আগেই এ গোষ্ঠীটি সক্রিয় ছিল। বর্তমানে রাখাইনের ১৭টির মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘাত পর্যবেক্ষকদের মতে, এএ এখন জান্তা সরকারের সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই বিবেচিত।
আরাকান আর্মির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রাত ৯টার দিকে হওয়া হামলায় হাসপাতালে থাকা অন্তত ১০ জন রোগী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় জান্তা সরকারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


