সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের দায়ে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত বান্দরবান জেলার ৭ নেতার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করেছে দলটি।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করে দলটি।
বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারকৃত নেতারা হলেন, বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও বান্দরবান সদর উপজেলার ৫ বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও আলীকদম উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম, বান্দরবান জেলা মহিলা দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি হামিদা চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আলীকদম উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিটন, লামা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জাকের হোসেন মজুমদার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন সময়ে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের দায়ে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের দায়ে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এইদিকে, বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের পরপরই বান্দরবান জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক ও ধানের শীষের প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীর বাসভবনে ছুটে যান বান্দরবান সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসসহ বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারকৃত নেতাকর্মীরা। এসময় সাচিং প্রু জেরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার আশ্বাস দেন তারা।

বান্দরবান জেলা বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের পরপরই বান্দরবানে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে আলোচনার ঝড়। দলটির অনেক নেতাই আশা করছেন দলের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩০০ নং আসনে বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সামনের সংসদ নির্বাচনে।
আরো পড়ুন→পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে র্যালি–সমাবেশ