ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ তাদের ভৌগোলিক সান্নিধ্য, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাগুলোকে কাজে লাগিয়ে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতার নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ২০২৫ সালের এনডিসি কোর্সের অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারতের পররাষ্ট্রনীতি এবং উন্নয়ন কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসন কাঠামোর সংস্কার, গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ রক্ষা এবং ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারের মধ্যে “প্রতিবেশী প্রথম” নীতি, “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি”, মহাসাগর নীতি এবং ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের আওতায় দুই দেশের সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ BIMSTEC-এর আওতায় আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। BIMSTEC-এর সচিবালয় ঢাকায় অবস্থিত এবং এটি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়ন সম্ভাবনাগুলোকে একত্রিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারত সবসময় একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, ভবিষ্যতমুখী এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী থাকবে, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে থাকবে। এই অংশীদারিত্বের মূল অংশীদার হবে দুই দেশের জনগণ।
আরো পড়ুন→মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত