শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বান্দরবানে গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যা সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজ গ্রামে ফিরলো কেএনএফ এর অত্যাচারে পালিয়ে যাওয়ার বম পরিবার পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ছয় দিনে তিন ধর্ষণ নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানে  ১৯ লক্ষ টাকার বার্মিজ গরু ও সুপারি জব্দ মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসার প্রধানসহ ১০ জন গ্রেপ্তার সীমান্তে থেমে নেই বিজিবির কঠোর অভিযান,গরুসহ ১১ লক্ষ টাকার পণ্য জব্দে চোরাচালানিরা আতংকে শৈশব থেকে সংগ্রামে বড় হওয়া উথোয়াইয়ই মারমার উদ্যোগে দুর্গম পাহাড়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা দুর্গম পাহাড়ের বম জনগোষ্ঠী পেলো সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বান্দরবানে নারীদের আত্মরক্ষায় YDSB এর বিশেষ ওয়ার্কশপের আয়োজন। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পৃথক অভিযান ১১ টি বার্মিজ গরুসহ ১৯ লক্ষ টাকার বিভিন্ন পণ্য জব্দ
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

বান্দরবান ৫নং টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন যেন ভুতুড়ে বাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৫০৫ জন নিউজটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান সদর উপজেলার ৫নং টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থাকলেও নেই কোনো কার্যক্রম। গত একমাস ধরে উড়ছে জাতীয় পতাকা। জনগণের সেবা দিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয়। নিয়মিত ব্যবহার না করায় জরাজীর্ণ আবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে এই যেন ভুতুড়ে বাড়ি।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,গত একমাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে পতাকা উড়ছে। এইদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বান্দরবান সদরে বসে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।জরুরি প্রয়োজনীয়  সেবা নিতে সাধারণ মানুষের যেতে হয় জেলা সদরে।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে আরো জানা যায়,৫নং টংকাবতী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ৫২টি পাড়া,প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস।জন্মসনদ থেকে শুরু করে মৃত্যুসনদ ও চেয়ারম্যান সনদসহ যাবতীয় নাগরিক সেবার একমাত্র ভরসা সড়কের পাশে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু কার্যক্রম অনিয়মিত হওয়ায়,নাগরিক সেবা ও সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থাকা শর্তেও নানান অজুহাতে অফিসের কার্যক্রম বান্দরবান জেলাসদরে বসে চালাচ্ছেন টংকাবতী ইউপি চেয়ারম্যান মাংয়ং ম্রো প্রদীপ। জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান সনদসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা পেতে দুর্গম পথ পাড়ি বাড়তি টাকা খরচ করে জেলা সদরে যেতে হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। চেয়ারম্যান নিয়মিত উপস্থিত না থাকায় নাগরিক সেবার জন্য ছুটতে হয় সদরে। আসা-যাওয়া খরচ গুনতে হয় দ্বিগুণ টাকা। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর এই ইউনিয়নে দুর্গমের বাসিন্দাদের।

এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চেয়ারম্যান মাংয়াং ম্রো (প্রদীপ), একজন আওয়ামীলীগ নেতা এবং মৌজা হেডম্যানের ছেলে তায় তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। ফ্যাসিবাদী আওয়ামিলীগের সমর্থিত এই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি বরাদ্দকৃত প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছে। কেউ এসবের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করে না। গেল ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও এখনো বহালতবিয়ত আওয়ামী পন্থী এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। সাধারণ জনগণদের নাগরিকসেবা ও ইউনিয়নের কর্মকান্ডকে গতিশীল করতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানায় স্থানীয়রা।

সার্বিক বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ৫নং টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাংয়াং ম্রো (প্রদীপ) এর সাথে। তিনি জানান জাতীয় পতাকা উঠানামার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দফাদারকে, কেন পতাকা নামানো হয়নি আমি খোঁজ খবর নিয়ে জানাচ্ছি। নাগরিক সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রতিদিন পরিষদে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। নাগরিক সেবার বিষয়ে একরকম দায়সারা গোছের জবাব দেন এবং পরিষদ বন্ধ থাকে না বলে অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), স্থানীয় সরকার এস,এম, মনজুরুল হক বলেন,অবগত হয়েছি এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

আরো পড়ুন→গণসংহতি আন্দোলনের বান্দরবান জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!