বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কৃতক বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর শতভাগ নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এই সংবাদ মাধ্যম তাদের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে, কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পর মংডুর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশো কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। যা নিয়েই নাফ নদীর মিয়ানমারের অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা।
এরপর আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক নাফ নদীতে নৌ চলাচলে সতর্কতা জারি করে টেকনাফ জুড়ে মাইকিং করা হয় । পাশাপাশি বাড়ানো হয় বিজিবির টহল। পরবর্তীতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন কৃতক টেকনাফ সেন্ট মার্টিন রুটে সব ধরনের নৌ যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, ‘বাংলাদেশি জেলেসহ সব নৌযান চলাচলকারীদের নাফ নদীতে না যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে টেকনাফ এলাকায় মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরকান আর্মির যুদ্ধ চলছে,।
তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য মতে আরাকান আর্মি বাংলাদেশ – মিয়ানমার সীমানন্তিক এলাকার টেকনাফ বর্ডারের সে দেশের সীমান্ত পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। তারা সে দেশের জলসীমানায় নাফ নদীতে সব নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্য দিয়েছে। তাই আমরাও টেকনাফের ফিশিং ট্রলার মালিকদের অবগত করেছি। নাফ নদী সীমান্ত এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তায় টেকনাফ – সেন্টমার্টিন রুটের সব ধরনের নৌ যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন >>>বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির