নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবান ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র বান্দরবান,বর্তমান পরিচালক এর স্বেচ্ছাচারিতা,দূর্নীতি,অনিয়ম,অর্থ আত্মসাৎ এর কারণে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখোমুখি হওয়ায় ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক মৌলবি হোসাইন মোহাম্মদ ইউনুছকে অপসারণের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেন সর্বস্তরের সচেতন নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার(২৬ নভেম্বর)সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন বান্দরবানের সর্বস্তরের সচেতন নাগরিক সমাজ।
বান্দরবানের সর্বস্তরের নাগরিক সমাজের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মো.মজিবর রহমান বলেন,প্রত্যন্ত বান্দরবান জেলায় দ্বীনি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব রাহমাতুল্লাহ আলাইহী ১৯৮৭-৮৮সনে বান্দরবান সদর উপজেলার বনরূপা-ছিদ্দিকীনগর এলাকায় “ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র”নামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং ১৯৮৯-৯০ সনে “ ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র” চালু হয়। উক্ত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু হওয়ায় আমরা বান্দরবানের সর্বস্তরের ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনগণ অত্যন্ত আশান্বিত হইয়েছিলাম যে আমাদের ছেলে মেয়েরা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাবে।পরিচালক আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব রাহমাতুল্লাহীসহ তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯২ সাল পর্যন্ত “ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র”বান্দরবানের বৃহত্তর দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। স্বল্প সময়ে উক্ত শিক্ষা কেন্দ্রে৮০০/১০০০ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৯২ সালে পরিচালক আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব রাহমাতুল্লাহ আলাইহী ইন্তেকাল করেন এবং ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অবনতি শুরু হয়।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন,আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব রাহমাতুল্লাহ আলাইহী ইন্তেকাল করার কিছুদিন পর তার পুত্র হুসাইন সাহেব গায়ের জোরে,তার পৈত্রিক সম্পত্তির মত ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালকের পদটি দখল করে নেন এবং তার বিশ্বস্থ ও অনুগত লোকজন নিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেন। অতঃপর পরিচালক হুসেইন সাহেবের স্বেচ্ছাচারিতার ও অদক্ষ পরিচালনা ও শিক্ষাকেন্দ্রের সম্পদ ব্যক্তিগত ভাবে আত্মসাৎ করার লালসার শিকার হয়ে“ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র”বর্তমানে একটি অকার্যকর,অচল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক মৌলবি হোসাইন মোহাম্মদ ইউনুছ পরিচালক এর পদ নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাত করে যাচ্ছে আর এই কারণে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় আরো বলেন,পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইউনুছ এতটাই প্রতারক ও অর্থলোভী ব্যক্তি যে, তিনি এতিমের নামে সরকারী বরাদ্ধ নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করছে। ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রে কোন এতিম ছেলে-মেয়ে নেই, কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ ৩০ (ত্রিশ) জন এতিমের ভূয়া তালিকা জমা দিয়ে বান্দরবান সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা অনুদান গ্রহণ করেন এবং সেই টাকা তিনি আত্মত্মসাৎ করছেন।ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র,বর্তমান পরিচালক এর স্বেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি,অনিয়ম, অর্থ আত্মসাতের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখোমুখি হওয়ায় বর্তমান পরিচালনা কমিটি বাতিল করে এবং পরিচালকের পদ থেকে মৌলবি হোসাইন মোহাম্মদ ইউনুছকে অপসারন করে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে পরিচালক পদে দায়িত্ব দেয়ার আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ব্যবসায়ী মাহাবুবুর রহমান,হাজী আবুল বশর,কাসেম সওদাগর,নুরু ঠিকাদার সহ সচেতন নাগরিক সমাজ নেতৃবৃন্দ ও বান্দরবান জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক’রা।
আরও পড়ুন >>>নাইক্ষ্যংছড়িতে নায্য মূল্য নির্ধারণ ও নানান দাবিতে রাবার ব্যবসায়ীদের আন্দোলন