1. soccergames24@gmail.com : babul khan : babul khan
  2. paharkantho2024@gmail.com : Sm Nasim : Sm Nasim
  3. 1234567889@gmail.com : Khaled Mahabub Khan Arafat : Khaled Mahabub Khan Arafat
  4. shebabslinfg@gmail.com : Babul Khan : Babul Khan
  5. mhkbkhan@gmail.com : Mahabub Hassan Khan : Mahabub Hassan Khan
ফানুস ও প্রদীপের আলোয় ঝলমলে পাহাড়ের আকাশ, বান্দরবানে উদযাপিত প্রবারণা পূর্ণিমা - paharkantho
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বান্দরবানে সাংবাদিকদের সথে এনসিপির নবগঠিত কমিটির মতবিনিময় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে র‌্যালি–সমাবেশ থানচিতে নতুন বাস টার্মিনাল চালু যাত্রীসেবার নতুন সম্ভাবনা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে বান্দরবানে পার্বত্য চুক্তির ২৮তম বর্ষপূর্তি পালন রুমায় সহকারী শিক্ষা অফিসারের দুই পদ শূন্য: তদারকি–শৃঙ্খলায় স্থবিরতা রুমায় দুলাচান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক অনুপস্থিত, পাঠদানে অনিয়মের অভিযোগ রেইচা আর্মি চেকপোস্টে সেনাবাহিনী কর্তৃক ৬ রোহিঙ্গা আটক থানচিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপি’র র‍্যালি ও আলোচনা সভা বান্দরবানের থানচিতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত বান্দরবানে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

ফানুস ও প্রদীপের আলোয় ঝলমলে পাহাড়ের আকাশ, বান্দরবানে উদযাপিত প্রবারণা পূর্ণিমা

আরাফাত খাঁন
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫

বান্দরবান শহর ও আশপাশের এলাকা ফানুস-প্রদীপের আলোয় আলোকিত ছিল গত তিনদিন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) এ আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে বান্দরবানে।

প্রতিবছরের মতো তিন দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয় ৫ অক্টোবর (রোববার) থেকে। প্রথম দিন ভোরবেলায় বান্দরবান শহরসহ আশপাশের বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ভক্তদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। সকাল থেকে চলে আলুয়া দান, পঞ্চশীল গ্রহণ, ধর্মদেশনা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান, যেখানে ভক্তরা ভিক্ষুদের দান দিয়ে পরিবারের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন।

 

সন্ধ্যায় শহরের উজ্জ্বলা মহাবিহার, রাজবিহার, বালাঘাটা বিহার ও মেঘলা বিহারসহ বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা হয়। বিহারে বিহারে প্রদীপ জ্বালানো হয়। রাত নামতেই আকাশে উড়ে যায় শত শত ফানুস, যা প্রবারণা পূর্ণিমার অন্যতম আকর্ষণ ও প্রতীক। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীরা দল বেঁধে এই ফানুস উড়ানোর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ফানুস উড়ানোকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন, ৬ অক্টোবর (সোমবার), সন্ধ্যায় বান্দরবানের পুরাতন রাজবাড়ীর মাঠ থেকে মূয়রপঙ্খীর মতো একটি বিশাল রথ টেনে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে উৎসর্গ করা হয়। রথে থাকা বুদ্ধমূর্তিকে পূজারিরা মোমবাতি ও ধূপকাঠি দিয়ে প্রণাম জানান এবং সুখ ও শান্তি কামনায় দান করেন। পরে রথটি উজানীপাড়া বৌদ্ধ বিহার হয়ে আবার পুরাতন রাজবাড়ি মাঠে আনা হয়। রাতের বেলা পিঠা উৎসবের মাধ্যমে মারমা তরুণ-তরুণীরা আনন্দে মেতে ওঠে।

 

উৎসবের তৃতীয় দিন শিশু-কিশোররা অংশ নেয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, যেখানে পরিবেশিত হয় গান, নাচ ও ধর্মীয় নাটিকা। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে ধর্মীয় আলোচনা, দান-পুণ্য ও নীরব প্রার্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বান্দরবানে তিন দিনব্যাপী চলা এই উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

স্থানীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মতে, “প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি, সহনশীলতা ও আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার উৎসব।”

তিন দিনের এই উৎসব আজ ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে সাঙ্গু নদীতে রথ বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

আলোকসজ্জা, প্রার্থনা ও ফানুসের আলোয় ঝলমলে বান্দরবান যেন শান্তি, ঐক্য এবং ধর্মীয় সৌহার্দ্যের এক অনুপম প্রতিচ্ছবি।

আরো পড়ুন→বান্দরবানে ৭ হাজার ঘনফুট অবৈধ বালুসহ ড্রেজার মেশিন জব্দ

call now: 01872-699800

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
jp-354c8c03daee477a362a