বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর শান্তি,সম্প্রতি,নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করা,পাহাড়ের গণ মানুষের অবিসংবাদিত নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং এর গণ সংযোগ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন বেতছড়া ইউনিয়ন বৈদ্য পাড়াবাসী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে ২নং তারাছা ইউনিয়নে আগমন উপলক্ষে,বেতছড়া পাড়া,বৈদ্য পাড়া গ্রামগুলোতে মানুষ উৎসব মুখর হয়ে স্বতঃস্ফূর্ত গ্রহণ করেন।

তিনি বেতছড়া বিদ্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা যোগ দেন। পরে বৈদ্য পাড়া এলাকাবাসীরা আয়োজনে গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
সভায় রোয়াংছড়ি উপজেলার ২নং তারাছা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান উমংসিং এর সভাপতিত্বে,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৩১৬নং বেতছড়া মৌজা হেডম্যান হ্লাথোয়াইহ্রী, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বান্দরবান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উছোমং মারমা, ৩৪০নং তারাছা মৌজার হেডম্যান উনিহ্লা,নোয়াপতং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শম্ভু কুমার তঞ্চগ্যা,পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবাসিং মারমাসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা।
সভায় প্রধান অতিথি কে এস মং বলেন,দীর্ঘ বছর ধরে পাহাড়ের অধিকার হারা নিপিড়ীত মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্বেও নিজ জেলা,নিজ এলাকার মানুষের কাতারে আসতে পারিনি। কাছে এসে শুনতে পারিনি দূর্গমে জনপদে বসবাসরত পাহাড়ের মানুষের কষ্টের গল্প। বিগত সময়ে ১৫/১৬ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গত সরকার উন্নয়ন করেছে ঠিকই কিন্তু স্বজাতির উন্নয়নের কথা বলেনি। স্বজাতি উন্নয়নের কথা চিন্তা করেনি। শুধু রাস্তাঘাট আর মসজিদ,মন্দির,বিহারের উন্নয়নে মনোযোগী ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, “আমি মনে করি একজন রাজনৈতিক নেতার কাজ মানুষের সেবা করা। পাহাড়ের শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা এখনো পিছিয়ে আছে। পাহাড়ের মানুষ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠলে উন্নয়নের পরিপূর্ণতা তবেই ফিরে আসবে।

বর্তমান এই সংকট সময়ে পাহাড়ে বসবাসরত সবাইকে একসাথে একজোটে কাজ করতে হবে।তখনই নিজেদের সংস্কৃতি,অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। পাহাড়ের নেতৃত্বে নীতি আাদর্শ ঠিক রেখে চললে তবেই পাহাড়ের পাহাড়বাসীরা বাঁচবে।
শেষে তিনি পাহাড়ের মানুষের অধিকার,সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন এবং অবহেলিত এলাকাগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে উন্নয়নের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।
আরো পড়ুন→বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচনে প্রচারণায় তুঙ্গে সভাপতি প্রার্থী চৌধুরী হারুনুর রশীদের “দেওয়াল ঘড়ি