বিহারে বিহারে প্রার্থনা শুরু প্রবারণা, ফানুস-প্রদীপে পাহাড়ে উচ্ছ্বাস ধর্মীয় দেশনা ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে চলছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য,কে এস মং,ওয়াগ্যেয়েই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) উপলক্ষে ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দু’দিনের সফরে রোয়াংছড়ি হয়ে রুমায় আসেন।
নিজ হাতে ফানুস উড়িয়ে পড়াবাসীর আবদার রাখেন কে এস মং
রোয়াংছড়ি হয়ে রুমায় সফরকালে বিভিন্ন পাড়ার বাসিন্দাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগমন কে ঘিরে পাড়ায় পাড়ায় ছিলো উৎসব মুখর পরিবেশ।
পাইন্দু ইউনিয়নের দূর্গম নিয়াংক্ষ্যাং পাড়াবাসী,বণ্যার্ঢ আয়োজনে মুগ্ধতা আমেজে বরণ করে নেন,পাহাড়ের জনমানুষের অস্তিত্ব ও অধিকারের লড়াইয়ের ভূমিপুত্র উ, কে এস মং-কে।
ফুলের তোড়া দিয়ে আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কে এস মং-কে বরণ করে নেন পড়াবাসী
এসময় তার সফরসঙ্গী হয়ে ছিলেন, বিপ্লবীদের অগ্রসৈনিক,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরােমর কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, আদিবাসী ফোরাম বান্দরবান জেলার সাধারণ সম্পাদক উছোমং মারমা, পাহাড় কন্ঠ ডটকমের প্রকাশক সাংবাদিক বাবুল খাঁন, সাংবাদিক উথোয়াইচিং মারমা রনি, জেএসএস বান্দরবান জেলার সাধারণ সম্পাদক উবাসিং মারমা, পিসিপি’র বান্দরবান জেলার সাধারণ সম্পাদক, জামাধন তঞ্চঙ্গ্যা, হারুন, মান্নান প্রমূখ।
এর আগে তিনি জেলা সদরের বিভিন্ন জাদী পরিদর্শন করেন এবং প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন। ধর্মীয় গুরুদের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম প্রধান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এই দিনটি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাবাস (তিন মাসের বর্ষাকালীন ধর্মচর্চা) শেষ হওয়ার পর উদযাপন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ করে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে প্রবারণা পূর্ণিমা অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালিত হয়। রাতভর আকাশ আলোকিত থাকে রঙিন ফানুসে, যা শান্তি ও আলোর প্রতীক।
আরো পড়ুন→কেএনএফ অত্যাচারে পালিয়ে যাওয়া বম পরিবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফিরল নিজ গ্রামে