নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের সীমান্তের ভেতরে ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে একটি বন্য হাতি।
মিয়ানমারের বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরকান আর্মির পুঁতে রাখা এই মাইন বিস্ফোরণের কারণে গত এক মাস আগে আরেকটি বন্যহাতির পা’এর গোড়ালী উড়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা পযর্ন্ত আহত হাতিটি সীমান্ত এলাকার জিরো লাইনে অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।
এর আগে সোমবার সকালে আহত হাতিটির ডান পায়ের গোড়ালী মাঠিতে বসাতে পারছিল না।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৪ ও ৪৫ নম্বর সীমান্ত পিলারের মিয়ানমারের সামান্য ভেতরের অংশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার ভেতরে একটি বিশাল আওয়াজের বিস্ফোরণে শব্দ শুনতে পান প্রত্যক্ষদর্শীরা। মাইনটি মিয়ানমার অংশে বিস্ফোরণ হয়। সে কারণে বাংলাদেশ অংশের লোকজন তাতে আগ্রহী হয়নি। কিন্ত বিকেলের দিকে হাতিটি যখন বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এসে অবস্থান নেয়। তখন এপারের লোকজন আগ্রহী হয় এবং হাতিটির অবস্থান নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পযর্ন্ত আহত হাতিটি সীমান্ত এলাকার জিরো লাইনে অবস্থান করছিল বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা মো: আব্দুল মালেক।
একই এলাকার নুরুল আলম জানান, আহত হাতি স্থানীয় কৃষক মো: রশিদ আহমেদের পানের (ক্ষেত) বরজ এবং ধান ক্ষেতের কিছু অংশ নষ্ট করেছে চলাচল করার সময়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাশরুরুল হক বলেন, ‘তিনি বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এ দলে দু’টি হাতি রয়েছে। একটি মা হাতি অপর টি বাচ্চা হাতি।’
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্তের অল্প ভেতরে রাখাইন বিদ্রোহীদের বসানো স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়ে আরো একটি বড় আকৃতির বন্যহাতি ওই হাতিরও পায়ের গোড়ালী উড়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে মাত্র এক মাসের মাথায় অন্যান্য প্রাণী ছাড়াও দুইটি বন্যহাতি মাইন বিস্ফোরণে আহত হলো।
আরো পড়ুন→সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নাইক্ষ্যংছড়ি থানা’র ওসি’ মো: মাসরুরুল হক এর শারদীয় শুভেচ্ছা