পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কে এস মং-এর উদ্যোগে বান্দরবানের প্রান্তিক জনপদে দুঃস্থ-অসহায় মানুষের সেবায় চট্টগ্রাম লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালের সহযোগীতায় গত ২০ অক্টোবর দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) রুমাতে বাছাইকৃত রোগীদের চক্ষু অপারেশনের জন্য প্রথম দফায় ৫৯ জন রোগীকে লাইন্স চক্ষু হাসপাতাল ও শেভরন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এসময় রোগিদের সার্বিক দেখাশুনার জন্য ১ নং পাইন্দু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা ও রুমা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অংসিংনু মারমা রোগীদের সাথে চট্টগ্রামে গিয়েছেন।

এই বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং বলেন, একজন মানুষ নিজের চোখ দিয়ে যদি পৃথিবী দেখতে না পারে তাহলে বেঁচে থাকাই মূল্যহীন। তাই চট্টগ্রামের চক্ষু চিকিৎসকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন। চোখে ছানি পড়া বা চোখের অপারেশন করতে হবে এরকম প্রতি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, রুমায় মোট ৬৪৮ জন চোখের রোগীকে চিকিৎসা ফ্রি ড্রপ ও ওষুধ বিতরণ এবং ২৬২ জন চোখের ছানী পড়া রোগী সনাক্ত হয়েছে। ২৮০ জনকে চশমা দেয়া হয়। ছানী পড়া রোগীদের মধ্যে প্রথম দফায় ৫৯ জনকে আগামীকাল ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালে অপারেশন করার কথা জানিয়েছেন চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রধানকারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত: পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় মানসম্পন্ন চক্ষু চিকিৎসার অভাবে অনেকে চোখের সমস্যায় ভুগছেন। এই সকল রোগীদের বিনামূল্যে সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।তাদের লক্ষ্য—ধাপে ধাপে প্রত্যন্ত এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন । রুমা উপজেলার পর থানচি উপজেলাতেও অনুরূপ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
দুর্গম এলাকায় এমন ক্যাম্প আয়োজনের ফলে স্থানীয়রা মানসম্মত চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন—এটি সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।