থানচি প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিক রূপ ও বৈচিত্র এর এক অনন্য নৈসর্গ আমাদের এই বান্দরবান জেলা। বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতির এক বন্ধনে গড়ে উঠেছে এই জনপদ। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এর পাশাপাশি সার্বিক উন্নয়নের জন্য বরাবরের মতো কাজ করে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও বান্দরবান রিজিয়নের অবদান উল্লেখযোগ্য।
সকল সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন নবান্ন উৎসব। বম, ত্রিপুরা ও ম্রো সহ সকল উপজাতির মধ্যে নবান্ন উৎসবকে আরো সৌন্দর্যমন্ডিত করার লক্ষে পাশে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর), ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের-এর অধিনায়ক এর পক্ষ হতে বাকলাই পাড়া সাবজোনের অন্তর্গত বাকলাই পাড়া এবং প্রাতাপাড়া পাড়ায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষে পাড়াবাসীর জন্য মিষ্টান্ন বিতরন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন, বাকলাই পাড়া সেনা সাবজোনের সাবজোন কমান্ডার, মেজর মুহাম্মদ আরাফাত রোকনী।
ধর্মীয় উৎসবের এই দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পেয়ে বাকলাই পাড়ার কারবারি থংলিয়ান বম বলেন, আমাদের এই নবান্ন উৎসবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে পাশে রয়েছে এতে আমরা অনেক আনন্দিত। সেনাবাহিনীর সহযোগিতার প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ।
বাকলাইপাড়ার পাড়ার স্কুল শিক্ষক জয় রাম বম বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগীতা আমাদের উৎসবকে আরো বেশি আনন্দের করে তোলে। সেনাবাহিনীকে পাশে পেয়ে পাড়ার সকলে আমরা অনেক খুশি। প্রাতা পাড়ার কারবারি পার্কেলিং বম বলেন ‘সেনাবাহিনী সহযোগিতায় আমরা পুনরায় পাড়ায় ফিরতে পেরেছি। পাড়ার উন্নয়নের পাশাপাশি আজকের এই দিনেও সেনাবাহিনীর অবদানে আমরা সকল পরিবার অনেক আনন্দিত। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার কারণে আজ আমরা শান্তি পূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারছি।
নবান্ন উৎসব আয়োজনের ব্যাপারে অধিনায়ক, ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বলেন, উৎসব হলো একটি আনন্দের দিন। পাড়ার সকল গুরুত্বপূর্ণ দিনে সেনাবাহিনী সব সময় সাধারণ জনগনের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ স্থানীয়দের জন্য একটি বড় সমর্থন এবং আনন্দ-উল্লাসের উৎস হিসেবে কাজ করেছে। শান্তি সম্প্রীতি এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে।
আরো পড়ুন→পাহাড়ের জুমে পাকা ধান কাটার ধুম