নাইক্ষংছড়ি প্রতিনিধিঃ মাহা সাংগ্রাই পোয়ে উপলক্ষে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য জুড়ে উৎসব পালনের কারণে তাদের বিদ্রোহী গোষ্টী আরকান আর্মি সীমান্তে ৭ দিন চোরাকারবার বন্ধ ঘোষণা করে।
রোববার সকালে এ ঘোষণার পর সীমান্তের সব চোরাকারবার থেমে যায়। এ দু’দিন বাংলাদেশী চোরাকারবারীরা অলস দিন কাটাচ্ছে। বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায়।
যেহেতু এ সীমান্ত এলাকা তারা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। আর এরই মধ্যে সোমবার ( ১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৫ টায় ১০ হাজার ইয়াবাসহ ২ পাচারকারীকে আটক করে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে দলটি স্থানীয় সোনাইছড়ির ঘনগাছ ( শিশুগাছ) তলা নামক এলাকার জমিউছিন মার্মার বাড়ি থেকে এ সব জব্দ করেন। একই সাথে দু’আসামীকে আটক করেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানোয়ার হোসেন।
সূত্র মতে, আটককৃতরা হলো, মংছেন মার্মা ( ২৫)। সে ইউনিয়নের ক্যাং পাড়ার মৃত বিমল মার্মার ছেলে। অপর আসামীর নাম,জুমিউছেন মার্মা (১৯)। এই যুবক একই সাকিনের মংছিন থোয়ািন মার্মার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানান, বর্তমানে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন এলাকাটি কক্সবাজারে ইয়াবা সরবরাহের জোন। মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে কয়েকজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এ ইয়াবাকান্ড চলে।
এখানে এখনও বিভিন্ন দল ও মতের যুবকরা ইয়াবায় জড়িয়ে মটরবাইক চালক থেকে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তারা সব কিছু ম্যানেজ করে এ সব করছে বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন।
এদিকে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইয়াবা আটকের বিষয়টি স্বীকার করে সোনাইছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামরুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেলে তারা এ সব ইয়াবা জব্দ করেন। সাথে ২ উপজাতী আটক আছে। ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আরো পড়ুন→থানচিতে ত্রিপুরাদের বৈসু উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যে, শোভাযাত্রা