নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক দ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য পাচারে শিশুকিশোরদের ব্যবহার করছে চোরাকারবারীরা।
আজ শুক্রবার সীমান্তের ওপার থেকে ইয়াবা আনতে যাওয়ার পথে ল্যান্ডমাইন বিষ্ফোরণে ১ কিশোর আহত হয়েছে।
বিস্ফোরণে তার বাম পায়ের গোড়ালী বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ডান হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয় সেই কিশোর।
আহত সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ ধলা পুতিয়া (১৪ ), সে সীমান্তের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মুরাপাড়ার ( মলাবিল) নুরুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার(১৪ ফেরুয়ারী) দুপুর ১ ঘটিকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ফুলতলী ৪৮ নং সীমান্তে পয়েন্টের।
স্থানীয়রা জানান সিরাজুল ইসলামসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে চোরাকারবারের অভিযোগ রয়েছে। তারা সীমান্তের ৪৮নং সীমান্ত পিলারের কাছে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত সিরাজুলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে একজনের আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছেন।
স্থানীয়রা আরও জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু।
প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ফুলতলী, আশারতলী জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হচ্ছে মিয়ানমারে। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এসব কাজে জড়িত। ইদানিং চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সূত্রে জানা যায়, বিজিবির তৎপরতায় চোরাকারবারিরা প্রধান রুট ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছে, সেখানে মাইন বিস্ফোরণের শিকার হচ্ছে
সীমান্তে চরলাচালনায় শিশুকিশোরদের ব্যবহার করেছে চোরাকারবারীরা।
আরো পড়ুন→বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পর্যটন বিকাশে সেনাবাহিনীর অবদান