নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও দেশের বাইরে থেকে অন্তর্বর্তীনকালী সরকারকে নানা ষড়যন্ত্রতে লিপ্ত করার চেষ্টায় আছে আওয়ামীলিগ,কিন্তু বিএনপি তা হতে দিবেনা। আ.লীগ সরকারের মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা থানায় রয়েছে। কিন্তু গ্রেফতারের ভয় নেই নেতাদের মনে, সম্মুক্ষে ঘোরাফেরা করছে তারা। অতি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা না হলে প্রশাসনকে জবাব দিহি দিতে হবে।
(৭ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গণ- জমায়েতের বক্তব্যেতে এইসব কথা বলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ওসমান গনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ সাচিং প্রু জেরী। আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনে নেতাকর্মীরা।
শুরুতে বান্দরবানের ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ হতে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে জমায়েত হয়। এসময় ব্যনারে ব্যানারে র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন বান্দরবান জেলা বিএনপি ও অংঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা কর্মীরা।
তারা আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিৎ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ নেতৃত্বকে একত্রিত করে শক্তিশালী একটি সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশে সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ সময় প্রধান অথিতি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সাচিং প্রু জেরী বলেন,আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সমান অধিকার ভোগ করবে।
বক্তারা আরো বলেন,বান্দরবানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে ১৬ বছর ধরে আ.লীগের নেতারা। ১৬ বছর পর বান্দরবানে এই প্রথম বিএনপির গণ- জমায়েত হয়েছে। আ.লীগ সরকারের আমলে যেসব নেতা লুটপাট, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করা দরকার।
শ্রমিকদল,সেচ্ছাসেবকদল,ছাত্রদল,নবীন দল,যুবদল,সহ বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এই সমাবেশে যোগদান করেন।
(আরো পড়ুন)
বান্দরবান ভ্রমনে পর্যটকদের ৩৫% ছাড়ে সেবার আহবান পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ