নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজকে থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলার পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মোক্ত করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এর পর জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে পর্যটকদের ভ্রমণে আহবান জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি।
( ৭নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সদরে অবস্থিত হোটেল গ্র্যান্ডভেলীর সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ, এসময় এসব কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, জেলায় ৯৪ টি হোটেল ও রিসোর্ট আছে। এর মধ্যে জেলা সদরে ৭৪টি। বাকিটা বিভিন্ন উপজেলায়। জেলায় ৮০% মানুষ কোন না কোন ভাবে পর্যটনশিল্পের সাথে জড়িত।
বান্দরবান জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক নাছিরুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, গত ২ বছর জেলায় পর্যটকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে ইতিমধ্য অনেক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক কর্মী চাকরী হারিয়েছে। অনেকে কঠিন জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়ে পড়েছেন।
দীর্ঘদিন প্রতিক্ষার পর গতকাল থেকে জেলাও র রুমা,থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা বাদে বাকি ৪টি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
পর্যটকদের ভ্রমণকে আরো উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জেলার সকল আবাসিক হোটেল গুলোতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ।
বান্দরবান হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি, মো: গিয়াজ উদ্দিন বলেন, আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁয়ও পর্যটকদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, আবাসিক হোটেলে- ৩৫ শতাং, রিসোর্টে-২৫ শতাংশ, খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁয়- ১০ শতাংশ, জীপ,কার, মাইক্রোবাস ( চাঁদের গাড়ী) – ২০ শতাংশ, এবং সিএনজি, মাহিন্দ্র ( থ্রি-হুইলার) ২০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ।
(আরো পড়ুন)
আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সমান অধিকার ভোগ করবে: সাচিং প্রু জেরী