ডেস্ক নিউজঃ বান্দরবানের আলীকদমে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। বদলি ও করা হয়েছে তাকে। কিন্তু জনরোষ থেকে বাঁচতে গোপনে আলীকদম থানা ছাড়তে পারলেও তার আসবাবপত্রের গাড়ি আটক করে দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তার বিরুদ্ধে থানায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় ও মারধর করাসহ রয়েছে নানান অভিযোগ। লিখিত অভিযোগ দিলেও ভুক্তভুগীদের টাকা ফেরত না দিয়ে আলীকদম থানার সাবেক ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এর মধ্যে (২৩ অক্টোবর) বুধবার সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের গাড়িতে করে ভুক্তভোগীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে আলীকদম ত্যাগ করেছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।
ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম বলেন, সাবেক ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান থাকায় আটকে রেখে মারধর ও মুক্তিপণ আদায় করেছেন। টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ডিবির গাড়িতে করে ওসি বান্দরবান চলে গেছেন ছাড়পত্র নিতে।
খোরশেদ আলম আরও বলেন, খন্দকার তবিদুর রহমান প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার ফার্নিচার নিয়ে গেছেন গত এক বছরে। এত টাকা আসলো কোথা থেকে?
আরেক ভুক্তভুগী বলেন, শত শত মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওসি খন্দকার তবিদুর রহমানের কাজ ছিল টাকা কিভাবে নিজের পকেটে নেওয়া যায়। খন্দকার তবিদুর রহমানের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধীদের ছিল মধুর সম্পর্ক। যার কারণে গত এক বছরের মাদকের কোনো অভিযান চলেনি থানা পুলিশের নেতৃত্বে।
এক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সদ্যবদলি হওয়া ওসি খন্দকার তবিদুর রহমানের আমলে বিভিন্ন সময় নির্যাতিত হয়েছে সাধারণ মানুষ। থানায় আটকে রেখে যাদের কাছ থেকে আদায় করেছেন মুক্তিপণ । তারা খন্দকার তবিদুর রহমানের যাওয়ার আগে তাদের থেকে জোরপূর্বক নেওয়া মুক্তিপণ ফেরত চেয়েছেন। টাকা না দিলে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় খন্দকার তবিদুর রহমানের যেতে বাধা প্রদান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গোপনে ডিবির গাড়িতে করে আলীকদম ছাড়েন খন্দকার তবিদুর রহমান।
এ বিষয়ে সদ্য বদলি হওয়া আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আলীকদম প্রেস ক্লাবের সামনে গত ১৬ অক্টোবর সচেতন আলীকদমের জনসাধারণ ও ছাত্র-জনতার ব্যানারে ভুক্তভোগীরা থানায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় ও মারধর করাসহ ওসির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেন। পাশাপাশি ওসি খন্দকার তবিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আটকে রেখে টাকা আদায়, মিথ্যা মামলা, মারধরসহ লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। গত ১৭ অক্টোবর অভিযুক্ত ওসিকে এসবিতে বদলি করা হয়।
(আরো পড়ুন)
আলীকদমে থানার মধ্যে ওসির হাতে নির্যাতনের শিকার এক যুবক।