শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বান্দরবানে গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যা সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজ গ্রামে ফিরলো কেএনএফ এর অত্যাচারে পালিয়ে যাওয়ার বম পরিবার পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ছয় দিনে তিন ধর্ষণ নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানে  ১৯ লক্ষ টাকার বার্মিজ গরু ও সুপারি জব্দ মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসার প্রধানসহ ১০ জন গ্রেপ্তার সীমান্তে থেমে নেই বিজিবির কঠোর অভিযান,গরুসহ ১১ লক্ষ টাকার পণ্য জব্দে চোরাচালানিরা আতংকে শৈশব থেকে সংগ্রামে বড় হওয়া উথোয়াইয়ই মারমার উদ্যোগে দুর্গম পাহাড়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা দুর্গম পাহাড়ের বম জনগোষ্ঠী পেলো সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বান্দরবানে নারীদের আত্মরক্ষায় YDSB এর বিশেষ ওয়ার্কশপের আয়োজন। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে পৃথক অভিযান ১১ টি বার্মিজ গরুসহ ১৯ লক্ষ টাকার বিভিন্ন পণ্য জব্দ
বিজ্ঞপ্তি
paharkantho.com আপনাকে স্বাগতম 🤗...

আলীকদমে থানার মধ্যে ওসির হাতে নির্যাতনের শিকার এক যুবক

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৪৮৩ জন নিউজটি পড়েছেন

ডেস্ক নিউজঃ গত ১৯ মার্চ আলীকদম উপজেলার নয়াপাড়া এলাকা থেকে আলীকদম থানার এএসআই জামান মিয়া ও রাশেদুল নামে দুই পুলিশ ঘটনার দিন রাতে জালাল উদ্দীন নামক সেই যুবক কে তুলে নিয়ে আসেন পরবর্তীতে ওসির রুমে নিয়ে গিয়ে বিনামূল্যে গরু না দেয়ায় মারধর করেন আলীকদম থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) খন্দকার তবিদুর রহমান।

 ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়ে ২০ মার্চ সকালে থানা থেকে ছাড়া পান জালাল উদ্দিন। এমন অভিযোগ তুলে আইজিপি ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জালাল উদ্দিন।

প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করা ছিল:

আলীকদম উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের মোক্তার সর্দার পাড়ার বাসিন্দা মোঃ ইউনুছের ছেলে জালাল উদ্দিন গত ১৯ মার্চ আনুমানিক রাত আটটার দিকে স্থানীয় আজিজের দোকান থেকে আলীকদম থানার এএসআই জামান মিয়া ও রাশেদুল ইসলাম জালালকে বলেন তোমাকে থানায় যেতে হবে, ওসি স্যার ডেকেছেন বললে জালাল কেনো জিজ্ঞেস করলে তোমার সাথে ওসি স্যার কথা বলবেন বলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জালাল অভিযোগে বলেন তাকে ওসির কক্ষে নিয়ে গিয়ে ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান প্রশ্ন করেন ‘তোমাকে জামান মিয়া একটি গরু দেয়ার কথা বলেছিল, দাওনি কেন?’ জালাল উত্তরে বলেন, ‘আমি গরুর ব্যবসা করি না, কোথা থেকে দিবো’। এরপর ওসি রেগে গিয়ে এএসআই জামানকে নির্দেশ দেন, ‘এরে মেঝেতে শুইয়ে দাও।’ নির্দেশ মতো এএসআই জামান জালালকে মেঝেতে শুইয়ে দেন। এরপর ওসি নিজে জালালের পায়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে পেটাতে শুরু করেন।

জালাল জানায়, থেমে থেমে তাকে প্রায় ২ ঘন্টা মারধর করা হয়। রাতে জালালের পিতা মোঃ ইউনুচ খবর পেয়ে থানায় গেলে ৫ লাখ দাবী করা হয়। এ সময় দাবীকৃত টাকা না দিলে ওসির টেবিলে রাখা ৪ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চালান করার হুমকী দেওয়া হয়। পরে অনেক অনুরোধে ২ লাখ টাকায় ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান রাজি হন।

পরেরদিন সকালে জালালের পিতা থানায় গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কফিলের মধ্যস্থতায় নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে নির্যাতনের শিকার জালালকে থানা থেকে নিয়ে আসেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই জামান বলেন উপর এর নির্দেশ পালন করেছি আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবোনা।

এবিষয়ে ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান অভিযোগ পেয়ে তাকে থানায় আনা হয়। মারধরের ও টাকা নেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

(আরো পড়ুন)

গোপনে আলীকদম ত্যাগ করেছেন ওসি খন্দকার তবিদুর রহমান।

https://paharkantho.com/news/23582

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: JPHOSTBD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!