Logo
বাংলাদেশ[bangla_day] , [english_date]
  1. অনিয়ম
  2. অপরাধ
  3. অপহরণ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন শৃঙ্খলা
  6. আইন-আদালত
  7. আওয়ামীলীগ
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আলীকদম
  10. ইতিহাস ও গল্প

মাত্র ৭০ হাজার টাকার জন্যে খুন হন সৈয়দ নুর: পুলিশ সুপার বান্দরবান

Link Copied!

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে মাত্র ৭০ হাজার টাকা জন্য গহীন জঙ্গলে নিয়ে ছৈয়দ নুর নামের এক ব্যবসায়ী-কে খুন করা হয়।

মঙ্গলবার ( ২২ জুলাই) সকাল ১১ টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার)।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৮ জুলাই দুপুর ২টা ৩০ ঘটিকায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ৩নং ঘুমদুম ইউপিস্থ ৭ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া ফকির পাড়া সংলগ্ন গহীণ পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে সৈয়দ নুর-কে অপহরণের পর হত্যা করে আসামিরা।

ভুক্তভোগী সৈয়দ নূর।

ঘটনার পরের দিন শনিবার (১৯ জুলাই) অপহরণের অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অপহ্নত ছৈয়দ নুরের স্ত্রী জোবাইদা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে আসামি ইসমাইল-কে গ্রেফতার করে ঘুমদুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরো দুই আসামি রোহিঙ্গা যুবক রহমত উল্লাহ ও আলী হোসেন মুনিয়া-কে আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া ফকির পাড়া সংলগ্ন গহীণ পাহাড়ে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় সৈয়দ নুর-কে পরবর্তীতে সেখানে তাকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে ও মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে ফেলে চলে আসে আসামিরা।আসামীদের দেয়া তথ্যমতে উক্তস্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী সৈয়দ নুর এবং আসামি ইসমাইল দুইজন বন্ধু ছিলেন। সৈয়দ নুরের নিকট থেকে ইছমাইল ৭০ হাজার (সত্তর হাজার) টাকা ধার নেয়। উক্ত টাকা সঠিক সময়ে ফেরত না দেয়ায় ইসমাইলের সাথে ভুক্তভোগী মনোমালিন্য হয় এবং স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী র টাকা ফেরত দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হলেও আসামি ইসমাইল টাকা দেয়নি বরং ভিকটিমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। আসামি ইসমাইল ও তার দুই সহযোগী উক্ত ঘটনার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভিকটিম সৈয়দ নূরকে গত ১৮/০৭/২০২৫ খ্রি. অনুমান ১৪.৩০ ঘটিকার সময় টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে এবং অপহরণ করে সীমান্তবর্তী এলাকার কাছাকাছি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে খুন করে। পরে হাত-পা ও মুখ বেধে লাশ ফেলে দিয়ে চলে আসে।

আটককৃত আসামি ইসমাইল, রোহিঙ্গা নাগরিক রহমত উল্লাহ অপর রোহিঙ্গা আলী হোসেন মুনিয়া।

উক্ত ঘটনায় আটকৃত আসামিরা হলেন, মূলঘাতক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের আজুখাইয়া গ্রামের অছিউর রহমানের ছেলে মোঃ ইসমাইল, রোহিঙ্গা নাগরিক অলী উল্লাহর ছেলে রহমত উল্লাহ এবং অপর রোহিঙ্গা আলী হোসেন মুনিয়া।

আরো পড়ুন→বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অপহরণের ৪ দিনের মাথায় যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার,আটক-২